১বছরে ৯ লক্ষ ইয়াবাসহ ১২ শতাধিক পাচারকারী আটক

১বছরে ৯ লক্ষ ইয়াবাসহ ১২ শতাধিক পাচারকারী আটক 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : টেকনাফ উপকুলীয় সীমান্ত এলাকা থেকে কিছুতেই থামছে না মরন নেশা মাদক পাচার।
বিগত কয়েক বছর ধরে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যাবহার করে মাদক পাচারের সাথে জড়িত অসাধু অর্থলোভী ব্যাক্তিরা মরন নেশা ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। এই অপকর্মে জড়িত হয়ে শত শত অসহায় নর-নারী  কারাভোগ করছে। এর একমাত্র কারন ইয়াবা কারবারীর মুলহোতারা আড়ালে থেকে এই সমস্ত অসহায় গরীব-দুঃখী যুবক যুবতীদের ইয়াবা পাচার কাজে ব্যাবহার করে যাচ্ছে।
আর রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে সীমান্ত এলাকার ইয়াবা কারবারীর।
এদিকে মিয়ানমার থেকে আসা মাদকের আগ্রাসনে দিনের পর দিন ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে বর্তমান যুবসমাজ। তার পাশাপাশি মরন নেশা ইয়াবার ছোবলে বিপদগামী হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। বাড়ছে নানা প্রকার অপরাধ প্রবণতা। মাদক আসক্ত ছেলেদের কারনে পরিবারে বেড়ে অশান্তি। টেকনাফ উপজেলার বিজিবি, পুলিশ কোস্টগার্ড,ও র‍্যাব সদস্যরা রাতদিন সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখে শত চেষ্টা করেও কোনোভাবেই ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে পারছে না তারা। কারন মাদক কারবারীরা নিত্য-নতুন কৌশল ব্যাবহারের মাধ্যমে তাদের অপকর্ম পাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে প্রতিনিয়ত  বাড়ছে মিয়ানমারের উৎপাদিত মরন নেশা ইয়াবার জোয়ার।
এদিকে মাদক পাচার ঠেকাতে প্রসাশনের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় কড়া পাহারা, সড়ক, রেল, সাগর আর পাহাড়ী পথে অভিযান চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবুও থামানো যাচ্ছে না মাদকের জোয়ার। বিগত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা নামের এই মাদক। এই মাদক গুলো বেশীর ভাগ পাচার হয় সাগর পথে ফিশিং ট্রলারের মাধ্যমে। সাগর পথে পাচারকালে প্রায়ই ধরা পড়ে মাদকের চালান। কিন্তু ধরা পড়ে না নেপথ্যের নায়কেরা।
সীমান্ত এলাকার মাদক কারবারীদের হাত নাকী অনেক লম্বা!
দেশ,সমাজ ও জাতি বিধ্বংসী এই ব্যবসায়ী ও পাচারকারী সিন্ডিকেটও এখন চরম বেপরোয়া। এ সিন্ডিকেটে আছে সরকারি দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মিরা। তাদেরকে সহযোগীতা করে আসছে এক শ্রেনীর ক্যাডার মাস্তান বাহিনী ও বেশ কয়েক জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ইদানিং
এই মাদক পাচারের সাথে জড়িত হয়েছে মাদক প্রতিরোধের দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর অসাধু চক্র।
সীমান্ত এলাকা টেকনাফে মাদকের ভয়াল আগ্রাসন চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।
পাশাপাশি এই মাদক পাচার ঠেকাতে  র‌্যাব-পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার অব্যাহত রেখেছে।
সেই ধারাবাহিকতা সুত্র ধরে প্রতিনিয়ত উদ্ধার হচ্ছে বস্তা বস্তা ইয়াবার বড় বড় চালান। তারপরও থামছে না ইয়াবা পাচারের জোয়ার।
টেকনাফ থানা সুত্রে জানা যায়,বিদায়ী ২০১৭ সালের ১ বছরের ব্যবধানে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওসি মাঈন উদ্দিন খাঁনের নেতৃত্বে ৯ লক্ষ ইয়াবাসহ প্রায় ১২ শতাধিক ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন টেকনাফ উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা যতদিন নিজের ইচ্ছাই মাদক পাচার প্রতিরোধ ও মাদক কারবারীদের ধরতে সহযোগীতা না করবে ততদিন এই সীমান্ত এলাকা টেকনাফ থেকে মাদক পাচারের আগ্রাসনের জোয়ার বন্ধ করা যাবে না।
তার পাশাপাশি দিন দিন বাড়তে থাকবে মাদক কারবারীদের সংখ্যা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!