স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামী বসতভিটা ছাড়া

স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামী বসতভিটা ছাড়া 1 মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : দেশে যখন নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। ঠিক এমন একটি সময় চলছে তার বিপরীত নির্যাতনের ঘটনা। রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ মৌলভীর কাটা চেয়ারম্যান পাড়ায় ঘটে এমন ঘটনাটি। মা ও দুই ছেলের জোর পূর্বক পিতার ভিটাবাড়ী কেড়ে নেই।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বৎসর আগে উপজেলার দক্ষিণ মৌলভী কাটার মৃত ছিদ্দিক আহমদ এর সন্তান ছালেহ আহমদ এর সাথে গর্জনিয়া ইউনিয়নের কালা সিকদার পাড়া গ্রামের কালু সিকদার এর মেয়ে রাহেলা বেগম’র বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে থাকলেও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারনে বড় বউ রাহেলা বেগম এর অনুমতিক্রমে দ্বিতীয় বিয়ে করে ছালেহ আহমদ। সালেহ আহমদ পৈতিৃক সূত্রে পাওয়া ভিটায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসলেও গত ৬-৭ বৎসর ধরে এলাকার কিছু কুচক্রিদের প্ররোচনায় রাহেলা তার বড় ২ ছেলে সহ মিলে কৌশলে স্বামীকে ঘর ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করে। বিষয়টি নিয়ে অসহায় ছালেহ আহমদ স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সবার বিষয়টি জানাই। এমন খবর তার স্ত্রী, ২ ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ আঙ্গুর জানতে পেরে সালেহ আহমদকে কয়েকদফা মারধর করে। পরে তাকে বসতভিটা থেকে বের করে দয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাহেলা ২ ছেলের বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় স্বামীর জায়গায় ব্যয়বহুল ঘর নির্মাণ করেছে বলে দাবী করে। তবে, তার স্বামী ছালেহ আহমদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি অনেক নির্যাতন সহ্য করেও ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জায়গা জমি বন্ধক রেখে ২ ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি এবং ২ মেয়েকে বিবাহও দিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলেরা মায়ের কু-পরামর্শে আমাকে ভরন পোষন দিবে তো দূরের কথা, উল্টো আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। যা এলাকাবাসী জানে। সে অসহায় কন্ঠে বলেন, আমি স্ত্রী ও সন্তানদের নির্যাতনে দোকানে ছোট স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!