‘সেনাবাহিনীর ভয়’ দেখিয়ে রাঙামাটিতে মহিলা ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ

‘মোবাইল ফোনে বাবলু জানায় সেনাবাহিনীর লোকেরা আমাকে গ্রেফতার করতে খুঁজছে। তাই গ্রেফতারের ভয়ে লংগদু থেকে রাঙামাটি শহরে চলে আসি। সহায়তার নাম করে রাতে বাবলু গ্রীনহিল হোটেলের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানেই রাতে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।’

‘সেনাবাহিনীর লোকেরা তোমাকে গ্রেপ্তার করতে খুঁজছে’- এই ভয় দেখিয়ে ঝংকু চাকমা ওরফে বাবলু নামে এক ব্যক্তি লংগদুর এক মহিলা ইউপি সদস্যকে রাঙামাটিতে ডেকে এনে হোটেলে তোলে। এরপর রাতে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।

ঘুম থেকে জেগে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিজেই হাজির হন সদর হাসপাতালে। আর সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার পর অভিযুক্ত ঝংকু চাকমা ওরফে বাবলুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল ইসলাম রনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ মামলা হওয়ায় বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার গ্রীনহিল হোটেলে। অভিযুক্ত বাবলু লংগদু উপজেলার ছোট কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ‘মোবাইল ফোনে বাবলু জানায় সেনাবাহিনীর লোকেরা আমাকে গ্রেফতার করতে খুঁজছে। তাই গ্রেফতারের ভয়ে লংগদু থেকে রাঙামাটি শহরে চলে আসি। সহায়তার নাম করে রাতে বাবলু গ্রীনহিল হোটেলের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানেই রাতে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঘুম থেকে জেগে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। পরে নিজেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে যান। একই দিন সন্ধ্যায় রাঙামাটি কোতোয়ালী থানায় গিয়ে বাবলুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত মীর জাহেদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঝংকু চাকমা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গতকাল আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মহিলা মেম্বারকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!