সাতকানিয়ায় পার্থসারথীকে পেটানোর ঘটনায় বিদ্রোহী জসিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়ায় ভোটের আগের রাতে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় খাগরিয়ার বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দিনসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পার্থ সারথী চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

খাগরিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন চর খাগরিয়ার মো. আলীর ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত শফর মুল্লুকের ছেলে জরিপ আলী (৫২), মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে মো. আবুল কাশেম (২৮), শামসুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫২), আব্দুর গফুরের ছেলে মো. নাছির উদ্দীন (৩৫), মাহবুবুল আলম, মো. আবুল হাশেম, মো. শফি সিকদার, মো. ওসমান, মো. ওসমান।

যুবলীগ নেতা পার্থ সারথী চৌধুরী মামলার এজাহারে লিখেছেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতে খাগরিয়ার ভোরবাজার হাইস্কুলের পাশে জেঠাতো বোনের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্রের মুখে গাড়ি থেকে টানাহেঁচড়া করে নামিয়ে আনে। এরপর বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীন ধারালো কিরিচ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে লোহার রড, ছুরি দিয়ে গাড়ির ড্রাইভারসহ অন্যান্যদের গুরুতর আঘাত করে। সবাই মিলে এভাবে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মারধর করে।

এজাহারে তিনি লিখেন, একপর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্দেশে তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পুলিশের টহল টিম বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীনের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। উদ্ধারের সময় বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্রটি তার কাছে পাওয়া গেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে।

এদিকে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেই পার্থ সারথীর ভাই সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিদ্রোহী প্রার্থী জসিমসহ অন্যরা তার ভাইকে মারধর করে অস্ত্রসহ ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলেন।

ঘটনার রাতেই এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্থানীয়রা বহিরাগত সন্ত্রাসী মনে করে চারজনকে মারধর করেছে। তাদের আমি উদ্ধার করতে যাই। গিয়ে দেখি সেখানে পার্থ সারথী চৌধুরী রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসি। এরপর বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সাহেবকে অবহিত করি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!