সহকর্মীকে ‘গলা টিপে দেবো’ বললেন চবির ডিন মাহবুব, তেড়ে গেলেন মারতে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক তার এক সহকর্মীকে ‘গলা টিপে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ সময় তিনি ওই সহকর্মীকে অশ্লীল শব্দে রাগান্বিত স্বরে গালিগালাজও করতে থাকেন। একপর্যায়ে সহকর্মী প্রফেসর ড. গোলাম কবিরকে মারতেও উদ্যত হয়েছেন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক। উপস্থিত অন্যান্য ডিন ও প্রফেসররা মাহবুবুল হকের রোষানল থেকে তাকে রক্ষা করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে সংরক্ষিত আছে। যে ভিডিও ক্লিপে প্রফেসর ড. মাহবুবুল হককে এমন মারমুখী আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক একাডেমিক কাউন্সিলের সিনিয়র সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এ অভিযোগে ওই শিক্ষক নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি এ ঘটনায় সুবিচার প্রত্যাশা করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ জুলাই একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪ তম সভার ২৮ নম্বর আলোচ্য সূচীতে যথাযথ নিয়মে আমি আপনার অনুমতি নিয়ে আমার মতামত ব্যক্ত করি। আমার বক্তব্যের পরেই কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য প্রদান করতে থাকেন। আমিসহ আরও কয়েকজন সদস্য তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে তাঁর মতামত প্রদানের অনুরোধ করি। এতে তিনি আরও উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অশালীন ও আপত্তিকর শব্দ (যেমন: বেয়াদব, তোর গলা চেপে ধরব ইত্যাদি) প্রয়োগ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি অত্যন্ত উত্তেজিতভাবে আমাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করতে উদ্যত হন। কয়েকজন সহকর্মী তাঁকে বাধা প্রদান করে আমাকে শারীরিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন।

অভিযোগে প্রফেসর ড. গোলাম কবির আরও বলেন, মাননীয় উপ-উপাচার্য এবং একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক। এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যন্ত। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি।

এ বিষয়ে তিনি উপাচার্যের কাছ থেকে সুবিচারের পাশাপাশি নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।

এ ঘটনার বিষয়ে মতামত জানতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হককে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!