সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য রাখার ভাড়া লাগবে না

পোশাকখাতই শুধু নয়, সব আমদানিকারকই এখন থেকে মাশুল (স্টোর রেন্ট) ছাড়াই আমদানি করা কনটেইনার রাখতে পারবেন চট্টগ্রাম বন্দরে। শুরুতে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য এ সুবিধা রাখা হলেও মাত্র একদিন পরই বন্দর কর্তৃপক্ষ সব আমদানিকারকের জন্যই মাশুল ছাড়ের এ সুবিধা উন্মুক্ত করে দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য রাখার মাশুলে ছাড় দেওয়ার পর কনটেইনার খালাসে গতি না ফেরায় জট খুলতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু তাদের জন্য এ প্রণোদনা বহাল রেখে নতুন করে আদেশ জারি করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাত্র একদিনের ব্যবধানে সবার জন্য আবারও মাশুল ছাড়ের আদেশ জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে শুধু পোশাক শিল্প মালিকরা নন বরং সকল আমদানিকারক এখন প্রণোদনাটি পাবেন আগামী ৪ মে পর্যন্ত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ সবার জন্য মাশুল ছাড়ের সুবিধা দিয়ে নতুন একটি আদেশ জারি করে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে আমদানি করা কনটেইনার রাখার ভাড়া দিতে হবে না কোন আমদানিকারককে। যেখানে একদিন আগেও প্রণোদনাটি শুধু মাত্র পোশাকখাতের ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

নতুন আদেশের বিষয়ে বন্দর সচিব ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সুবিধা সবার জন্য আগামী ৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সকল আমদানিকারকের পক্ষে তারা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। সে আবেদন কনসিডার (বিবেচনা) করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সবার জন্য মাশুল মওকুফ করে আমরা নতুন আদেশ জারি করেছি আজ।’

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটির সময় থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি করা সব ধরনের কনটেইনার রাখার ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ ছুটির কারণে বেশিরভাগ সংস্থার সেবার আওতা সীমিত করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু এ সুবিধা নিয়ে উল্টো বন্দরে কনটেইনার ফেলে রেখে জট বাড়িয়ে দিলে গত ২০ এপ্রিল থেকে তা প্রত্যাহার করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে বিজিএমইএর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র পোশাক শিল্প মালিকদের মাশুল ছাড়ের সুবিধা দিয়ে নতুন একটি আদেশ জারি করা হয় সোমবার (২৭ এপ্রিল)।

ওই আদেশের পর শুধু পোশাক খাতকে মাশুল মওকুফ সুবিধা দেওয়ায় অন্যান্য বাণিজ্যিক আমদানিকারক আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে নতুন আদেশ জারি করলো বন্দর কর্তৃপক্ষ।

স্বাভাবিক সময়ে জাহাজ থেকে নামানোর পর বন্দরে চারদিন পর্যন্ত বিনা ভাড়ায় কনটেইনার রাখা যায়। এরপর প্রথম ধাপে প্রতিটি কনটেইনারে ছয় ডলার, দ্বিতীয় ধাপে ১২ ডলার এবং শেষধাপে ২৪ ডলার করে ভাড়া দিতে হয়।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!