রাত জেগে চুরি, ডাকাতি—মালামাল পাচারে পিকআপও রাখতেন সঙ্গে

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় অস্ত্র-শস্ত্রসহ একটি মিনি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম জানান, বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত ১২টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন দুলালাবাদ পাহাড়তলী রেলক্রসিং সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের নিকট থেকে ২টি ছোরা, ১টি করে বোল্ড কাটার, শাবল, প্লাস, নোস প্লাস, লোহার হাতল এবং ১টি মিনি পিকআপ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি ও ডাকাতি করে। গত এক মাস আগে জোরারগঞ্জ থানা এলাকা, ফকিরহাটসহ আরো বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক গরু চুরি ও ডাকাতি করেছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পিকআপ যোগে যাওয়ার পথে সন্দেহ হলে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাদের আটক করে তল্লাশি করে। পরে গাড়িতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়।

আটক ডাকাতরা হলো, জাহাঙ্গীর আলম (৩১), মো. আবুল কালাম প্রকাশ সোহেল (৩২), মো. বাবুল মিয়া (৪২), মো. রিপন (৩১), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০) এদের মধ্যে ডাকাত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানা, চৌদ্দগ্রাম, লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ও সিএমপির পাহাড়তলী থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির মোট ৮টি মামলা রয়েছে। আবুল কালাম প্রকাশ সোহেলের বিরুদ্ধে ৩টি ও বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।

পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম বলেন, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা নগর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে ডাকাতি করে আবার নগরে চলে আসে। ফলে পুলিশ তাদের ধরতে পারে না। আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!