যুবলীগে পদ নিয়ে ‘ব্যক্তি বিশেষের’ এতো মাথাব্যথা কেন জানতে চাইলেন এলিট

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নবনিযুক্ত সদস্য চট্টগ্রামের সফল ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ ও পরিবার ছাড়া অন্যরা ভালোবাসতে পারবে না তা কিন্তু নয়।’

‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে উনার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছি, সামনেও করে যাব। রাজনীতি করে আমি এক টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছি তা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। আমি দেশের সব নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা করি। রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীকে ভালোবাসি আর দেশের মানুষের পাশে থাকার ক্ষুদ্র চেষ্টা থেকেই। এখানে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আল্লাহ কাউকে সম্মান দিলে সেখানে হিংসুক লোকজন কি তা কেড়ে নিতে পারে? আমিতো আমার রাজনীতি করছি। কারো বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছি না। তাহলে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের কেন এতো মাথা ব্যথা? মিরসরাই আমার জন্মস্থান সেটা তো অপরাধ হতে পারে না!’

সোমবার (১৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এলিটের কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য পদ বাতিলের চেয়ে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবৃতি ও ফেসবুকে সমালোচনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট আরও বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি পারিবারিক ব্যবসা থেকে বের হয়েছি। আমার বাবা অন্য রাজনীতি করে বলে তার সাথেও আমার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়েছে। আমার নিজস্ব একটা পরিচয় আছে। দলের জন্য কাজ করছি। ক্রীড়াসহ নানা সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। এরপরও কেন আমার বাবার কথা বলে আমাকে টেনে নামানোর চিন্তা? এসব গতবার আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য পদ পাবার সময়ও করা হয়েছিল। নেতৃবৃন্দ সব অবগত আছেন। আমি হলফ করে বলছি, আমি কোনও দিন আওয়ামী লীগের বাইরে যদি অন্য কোনও দল করেছি একদিনের জন্যও সেটা কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে যুবলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করব। আমার বিরুদ্ধে যেসব অপ্রচার করা হচ্ছে ভিত্তিহীন মনগড়া ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত।’

তিনি বলেন, ‘পদ-পদবী প্রত্যেক কর্মীর জন্য অলঙ্কার স্বীকৃতি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগ সভাপতি পরশ ভাই আমাকে তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন তাই কৃতজ্ঞ। কিন্তু পদে না রাখলেও আমি কাজ করতাম না তা নয়। সুতরাং একটা সদস্য পদ নিয়ে কারো এতো বিচলিত হবার কিছু নেই। রাজনীতিতে নানা মত থাকবে, তবে আর্দশের ঠিকানা একটাই, একজনই। আমাদের আর্দশিক নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আদর্শ বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় যে কোনও নাগরিকই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারে। আমিও স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পর গতবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কাজের মূল্যায়ন করে যুবলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। আমিও তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!