‘অপহরণ’ নাকি ‘নিখোঁজ’, মায়ের সন্ধানে পথে পথে ঘুরছে কিশোর ছেলে

চট্টগ্রামে কর্মস্থলের অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছেন দুই সন্তানের জননী পারভীন আক্তার। নিখোঁজ পারভীন আক্তার উদ্দীপন নামে একটি এনজিও’তে কর্মরত ছিলেন।

গত (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মেলেনি। পরিবারের দাবি তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ মায়ের খোঁজে পথে পথে ঘুরছে তার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা।

নিখোঁজ পারভীন আক্তার চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকের ২৬৮ নম্বর ভবনে থাকা উদ্দীপন এনজিও’তে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিখোঁজের পর চান্দগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করা হয়। জিডি নম্বর- ৮৭৭।

পরিবারের দাবী, গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টার সময় চকবাজারের সবুজবাগ আবাসিক থেকে উদ্দীপন এনজিও অফিসে যান তিনি। অফিস শেষ করে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসলেও ওই দিন ফিরে না আসলে তার মোবাইল নাম্বারে কল করে সন্তানরা। কিন্তু সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কর্মস্থলে এসে খোঁজ নিলে উদ্দীপনের ম্যানেজার রাশেদুল হাসান বলেন অফিস শেষ করে সন্ধ্যা ৬টার সময় বাসার উদ্দেশে বের হয়ে যান পারভীন আক্তার। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, বহদ্দারহাটের চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার সিএমবি গার্মেন্টসে কর্মরত খোকন চক্রবর্তী নামের এক লোক থেকে নিখোঁজ পারভীন আক্তারের স্বামী লাভের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। কিছুদিন ধরে ওই লোক ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। ৪ লাখ টাকা না দিলে হুমকিও দেন। এর জের ধরে পারভীন আক্তারকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে অভিযোগ করছে পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিখোঁজ পারভীন আক্তারের ছেলে ফারদীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার মাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমার আব্বু যে লোক থেকে টাকা ধার নিয়েছিল সে আমার মাকে অপহরণ করেছে। গতকাল থেকে খোকন চক্রবর্তী সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খোঁজ নিতে তার বাসায় যাই। কিন্তু বাসায় তালা দেওয়া ছিল। কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে তার উপর আমাদের আরো সন্দেহ জাগে। আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো আমার মাকে উদ্ধার করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মা প্রতিদিন অফিস শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাসায় চলে আসে। ওই দিন আমার মা অনেক রাত হওয়ার পরও বাসায় না আসলে খোঁজ নিতে অফিসে ফোন করি। অফিস থেকে জানানো হয় সন্ধ্যায় তিনি অফিস থেকে চলে গেছেন। রাত ৩টা পর্যন্ত মাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেলে চান্দগাঁও থানায় একটি জিডি করি।’

এ বিষয়ে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিখোঁজ পরিবার থানায় জিডি করেছে। তার সূত্র ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার পরিবারের সাথে আগে কারও পূর্ব শত্রুতা ছিল কিনা তাও আমরা দেখতেছি।’

এএন/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!