মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রিদওয়ান আর নেই, চট্টগ্রামে তিন জানাজা

দেশবরেণ্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ান উর রহমান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সন্তান।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার ল্যাবএইড (ধানমন্ডি) হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ভোরে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-এ-খোদা দীপ।

অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান সর্বশেষ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর নেওয়ার পর থেকে ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজের রিসার্চ সেন্টারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রিদওয়ানুর রহমান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে এফসিপিএস সম্পন্ন করেন।

তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার একেবিসি ঘোষ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নীতিনির্ধারণ এবং গবেষণা কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন ডা. রিদওয়ানুর রহমান। দেশ বিদেশে তাঁর অসংখ্য গবেষণাকর্ম এবং আর্টিকেল প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মনিটর এবং পর্য়বেক্ষক হিসেবে পৃথিবীর বহু দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মৃত্যুকালে ডা. রিদওয়ান উর রহমান স্ত্রী শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদ, ছেলে ডা. রাইক রিদওয়ান এবং মেয়ে রিদানাহ রাইন রিদওয়ানসহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

চট্টগ্রামের স্বনামধন্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান সিএসসিআর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমআরজি (ম্যালেরিয়া রিসার্চ গ্রুপ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ডা. রিদওয়ান উর রহমান।

মরহুমের প্রথম জানাজা বুধবার বাদে জোহর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিতীয় জানাজা বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জোহর নামাজের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং তৃতীয় জানাজা বাদে আসর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামে সর্বশেষ জানাজার পর তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!