মিরসরাইয়ে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১২০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় ১২০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। উপজেলার মিরসরাই সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নুরুল মোস্তফা এই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তিনি মিরসরাই সদরে কাটা গাছ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন।

জানা গেছে, সামাজিক বনায়নের আওতায় ২০১২-২০১৩ সালে সীতকুণ্ড-মিরসরাই উপজেলা মিলে গঠিত বারৈয়াঢালা রেঞ্জের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বিটের গোরিটালা এলাকায় বনায়নের জন্য চার একর জায়গা বরাদ্দ পান শিক্ষক নুরুল মোস্তফাসহ আরও তিন জন। পরে তিনি এককভাবে জায়গাটিতে এক হাজার লেবুর চারা এবং ২০০টি মাল্টা চারা রোপণ করেন। চারাগুলো ফলনশীন হতে শুরু করলে গত শনিবার হঠাৎ নতুন বনায়ন করার কথা বলে সবগুলো ফলনশীল গাছ কেটে ফেলেন বন বিভাগ।

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক নুরুল মোস্তফা বলেন, নতুন বনায়নের কথা বলে বন বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম ফারুকের নির্দেশে আমার ১ হাজারটি লেবু গাছ এবং ২০০টি মাল্টা গাছ কেটে ফেলেন শ্রমিকরা। এতে আমার প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত তিন মাস বন বিভাগ থেকে একটি নোটিশের উদ্ধৃতি দিয়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এতে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানোর কারণে এমন কাণ্ড ঘটান বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল মোস্তফা।

এই ঘটনায় বন কর্মকর্তার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেটে ফেলা গাছ নিয়ে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক নুরুল মোস্তফা।

জানতে চাইলে বড়তাকিয়া বন বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুখ আহমেদ বলেন, আমাদের নিষেধ অমান্য করে পাহাড়ের বড় গাছ কেটে সেখানে লেবু বাগান করেছেন নুরুল মোস্তফা। বন বিভাগের জায়গায় কোন ধরনের ফলের বাগান করার সুযোগ নেই। ওই এলাকায় ২৫ একর জায়গায় নতুন বাগান করা হবে। তাই উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই বাগান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!