কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখতে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টেকনাফের লেদা এলাকায় এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে গঠিত দল দুইটির মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ফুটবল ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে আলীখালী অরেঞ্জ দল তিন গোলে জয়লাভ করে।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ম্যাচটি ২৪ (লেদা) ও ২৫ (আলীখালী) নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের পার্শ্ববর্তী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সু-সর্ম্পক বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই ফুটবল ম্যাচে অংশ নেন আলীখালী ব্লু দল ও আলীখালী অরেঞ্জ দল। দুই দলে ২২ জন খেলোয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীর পাশাপাশি স্থানীয় বাঙালিরাও অংশ নেয়। ব্যাতিক্রমধর্মী এই আয়োজন দেখতে মাঠে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনের লেদা ও আলীখালীর রোহিঙ্গা শিবিরের সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাজাহান। এতে উপস্থিত ছিলেন লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম, আলীখালী রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান রহিম উল্লাহ, স্থানীয় উন্নয়ন কমিটির নেতা মো. জুবাইর, মাইন উদ্দীন ও আইওএম’র কর্মকর্তারা। ফুটবল ম্যাচটি পরিচালনা করেন কক্সবাজার জেলা রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্য সিরাজুল ইসলাম এবং সহকারী হিসাবে পরিচালনা করেন মো. ইসমাইল ও মোবিন।
প্রীতি ম্যাচে দুই দলের ৬০ মিনিটের খেলা শেষে আলীখালী ব্লু দল ও আলীখালী অরেঞ্জ দল এক এক গোলে ড্র করেন। পরে ট্রাইবেকারে ৩-২ গোলে আলীখালী অরেঞ্জ দল জয় লাভ করেন। পরে দুই দলের হাতে ট্রফি, ম্যাডেল এবং ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা।
আইওএম-এর ট্রানজিশনাল রিকভারি ডিভিশনের (টিআরডি)র প্রধান প্যাট্রিক শেরিগনন বলেন, স্থানীয় জনগণ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধুত্ব সামাজিক সম্প্রীতি এবং সহাবস্থান বজায় রাখতেই ফুটবল আয়োজন করা হয়েছে। ফুটবল ম্যাচের মতো এমন আরও খেলাধুলার পাশাপাশি নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষার্থে কাজ করে চলেছে আইওএম।
ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, বিশ্ব শরাণার্থী দিবস উপলক্ষে স্থানীয় জনগণ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বাজায় রাখতে আইওএম ও বাংলাদেশ সরকারের উদ্যেগে এই খেলার আয়োজন করা হয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের মধ্যেও বন্ধুত্ব বাড়াতে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এএইচ