বিএম ডিপোতে আরও ২ লাশ, আগুন জ্বললেও তা এখন নিয়ন্ত্রনে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বেলা একটার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া দুটি লাশের মধ্যে একটি লাশ ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর ও অপর লাশটি কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীর বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এর আগে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে মোট নিহতের সংখ্যা এখন ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সীতাকুণ্ড ডিপোর সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের উপ- পরিচালক আনিসুর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, নতুন উদ্ধার হওয়া দুইটি লাশের মধ্যে একটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও একজন ডিপোর গার্ডের বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে তা ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।

লাশ দুটোর একটির পাশে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সেফটি গার্ড ও অন্য লাশটির পাশে ডিপোর গার্ডদের নেইমপ্লেটের মত আলামত খুঁজে পায় উদ্ধারকারী দল। সেই হিসেবে লাশ দুটোর একটিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও একটি গার্ডের বলে ধারনা করেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, কয়েকটি কন্টেনারে আগুন জ্বললেও তা এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে। এখনো দুইটি ইউনিট আগুন সম্পূর্ন নির্বাপনের জন্য কাজ করছে।

এর আগে ডিপো এলাকাটিকে ঝুঁকিমুক্ত বলে দাবী করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

সব মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নয় কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনো নিঁখোজ রয়েছেন তিনজন।

এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!