বারকোড ফুড জাংশনের ফ্রিজে পচা মাংস, নোংরা রান্নাঘর— জরিমানা এলো ৪ লাখ

ফ্রিজে পাওয়া গেল পচা মাংস, পুরো রান্নাঘরই নোংরা। আর এমনকি রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছিল যে ঘি, সেটার অনুমোদনই নেই। শুধু তাই নয়, কাঁচা ও রান্না করা মাংস সংরক্ষণ করা হচ্ছিল একসঙ্গে। এমন সব দৃশ্য দেখা গেল চট্টগ্রামের নামি রেস্টুরেন্ট বারকোড ফুড জাংশনে।

বারকোড ফুড জাংশনের ফ্রিজে পচা মাংস, নোংরা রান্নাঘর— জরিমানা এলো ৪ লাখ 1

বুধবার (৩০ আগস্ট) অভিযানে গিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বারকোড ফুড জাংশনের এমন চিত্র দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বারকোড ফুড জাংশন কর্তৃপক্ষকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেন।

নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী মুরাদপুরের বারকোড ফুড জাংশনের কাছ থেকে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন কার্যালয় নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় ‘বারকোড রেস্তোরাঁ’য় মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় বারকোড রেস্তোরাঁয় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বিশেষত ফুটপাতের ওপর-ফুটপাতের পাশেই খোলা অবস্থায় ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। খাদ্যকর্মীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি সেখানে অনুসরণ করা হচ্ছিল না। এমনকি জুস তৈরিতে ব্যবহৃত স্বাস্থ্যসম্মত ‘আইস’-এর ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য দিতে না পারেনি বারকোড রেস্তোরাঁ। আমাদানি করা হয়েছে— এমন দাবি করা হলেও খাদ্যপণ্যে (চিজ) আমদানিকারকের সিলই ছিল না।

বারকোড ফুড জাংশনের মালিক মনজুরুল হক। তার মালিকানাধীন অন্য রেস্টুরেন্টের মধ্যে রয়েছে— বারকোড ক্যাফে, বারগুইচ টাউন, ওমেট্রা, মেজ্জান হাইলে আইয়্যুন, বীর চট্টলা, তেহেরিওয়ালা, বারকোড জিইসি, বারকোড মেরিনা ক্যাপেলা, বারকোডিয়ান। মনজুরুল প্লাস্টিক পণ্য নির্মাতা এন মোহাম্মদ গ্রুপেরও অন্যতম পরিচালক।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!