১৯৭৮ সাল থেকে বাবা মুন্সি খায়ের আহমদ সাতবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু একবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি তিনি। বুকভরা আক্ষেপ নিয়ে ২০০০ সালে মারা যান মুন্সি খায়ের আহমদ। এরপর ২০০১ সাল থেকে তার ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে মুন্সি ইউনুছ একইভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে আসছিলেন। কিন্তু জয়ের মুখ দেখেননি। তবে এবার তার সিঁকে ছিড়লো। টানা চতুর্থবার নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বাবা স্বপ্নপূরণ করতে না পারলেও পেরেছেন ছেলে। তাই জয়ী হওয়ার পর বাবা মুন্সি খায়েরের কবরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেজাউল।
এমনটি ঘটেছে ৯ মার্চ (শনিবার) চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে। এই উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আরও ৬ জন প্রার্থী রেজাউলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা ঘোষিত নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, রেজাউল অটোরিকশা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার আজিম (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শত ৩২ ভোট। তাদের ব্যবধান মাত্র ৭২ ভোট।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করেছেন বলে আমার মতো মানুষ নির্বাচিত হয়ে বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছি। নির্বাচনে দায়িত্বরত সকলকে এবং নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই।’
এদিকে সকাল থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১০টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যাওয়ায় এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজে