বসতঘর পুড়িয়ে মিথ্যে মামলা, চকরিয়ায় ভিটেমাটিহারা আবুল কাশেম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে একটি পরিবারকে। বর্তমানে পরিবারটির বসতভিটায় নতুন ঘর নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মহল। ঘরবাড়ি হারিয়ে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে কৃষক আবুল কাশেম (৭০)। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তার তার ভিটেমাটি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে একটি প্রভাবশালী চক্র—এমন অভিযোগ করেন আবুল কাশেম। এদিকে চকরিয়া পুলিশ বলছে বিষয়টি ভূমি বিরোধে সৃষ্ট শত্রুতা।

বসতঘর পুড়িয়ে মিথ্যে মামলা, চকরিয়ায় ভিটেমাটিহারা আবুল কাশেম 1
আবুল কাশেমের বসতবাড়ির ভূমিতে ঘর নির্মাণ করছে দৃর্বৃত্তরা।

আবুল কাশেম প্রতিবেদককে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার বসতবাড়ি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালী ছৈয়দ আহমদ। তার ছেলে ও ভাইয়েরা। সে অনেকবার আমাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ৫ তারিখ রাত ১২ টার দিকে ছৈয়দ আহমদ, তার ছেলে ইউনুছ, ইব্রাহিম, মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দু ছবুর, ছৈয়দ আহমদের ভাই মো.সেলিম, তার ছেলে তৌহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে দল বেঁধে আমার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে। এ সময় তারা কেরোসিন ছিটিয়ে আমার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনের শিখা দেখে এলাকাবাসী ছুটে এলে তাদেরকেও মারতে উদ্যত হয়। পরে এলাকাবাসীরা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে আমার বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমার অন্তত দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আমি চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমার এজাহার নেয়নি। উল্টো আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে ছৈয়দ আহমদের ছেলে মো.ইউনুছ বাদি হয়ে মারধরের একটি মিথ্যা মামলা রুজু করে।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় আমার স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই পুত্রবধু, এক মেয়ে ও অপর এক নিকটাত্মীয়সহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আমি এখন পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা নিরীহ বলে পুলিশ আমার মামলা না নিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তদন্তপূর্বক এ ঘটনায় জড়িতদের আমি বিচার দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবুল কাশেমের দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই তার দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। মো.ইউনুছের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে বিধায় তার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের দুইপক্ষের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃংখলা বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!