চকরিয়ায় বিরোধ থামাতে গিয়ে ২ পুত্রসহ আসামি পিতা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল এলাকায় দুই পরিবারের বিরোধ নিস্পত্তি থামাতে গিয়ে উল্টো সংঘর্ষের মামলায় আসামি হলেন জসিম উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী। তিনি একপক্ষের সালিশকারক হিসেবে সমঝোতা বৈঠকে থাকলেও মামলাটিতে তার দুই ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে। যদিও তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

আপন ভাতিজা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ভুক্তভোগী ও তার দুই ছেলে বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে চকরিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে হয়রাণির অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখীল গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. জসিম উদ্দিন (৫০) বলেন, প্রতিবেশি আমার চাচাতো ভাই ডা. আবু তাহের পরিবার ও তার ভাগিনা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টোর পরিবারে ভিটেবাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের লোকজন একমত হয়ে গ্রামে বিরোধ নিস্পত্তিতে সালিশ বৈঠক বসেন।

তিনি বলেন, সমঝোতা বৈঠকে আবু তাহেরের পরিবার আমাকে সালিশকার হিসেবে রাখেন। বৈঠকে পক্ষ-বিপক্ষের সালিশকার হিসেবে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফখরুদিন, স্থানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদুল হকসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময় ডা. আবু তাহেরের স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো গংয়ের লোকজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তর্কের একপর্যায়ে দু’পক্ষের মারামারি থামাতে আমি এবং সালিশকারকরা দু’পক্ষকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের বাধা না মেনে উভয়পক্ষ কোপাকুপি শুরু করে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৬-৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। পরে একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন অভিযোগ তুলেছেন, সমঝোতা বৈঠকে আমি সালিশকার ছিলাম চাচাতো ভাই ডা. আবু তাহের পরিবারের পক্ষে। সংঘর্ষের সময় রক্ষার চেষ্ঠা করেছি ভাইয়ের পরিবারের সবাইকে। কিন্তু পরে দেখি চকরিয়া থানায় আবু তাহের গংয়ের মামলায় আমাকে ছাড়াও আমার দুই ছেলেকে আসামি করা হয়েছে।

জসিম উদ্দিন প্রশ্ন তুলে বলেন, সমঝোতা বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম, আমাকে আসামি করা হলো, আমার কোনো অনুশোচনা নেই। কিন্তু মামলাটিতে যখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ দুই ছেলেকে আসামি করা হয় সেখানে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বলতে কী থাকে।

আমি এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সাজানো এ ধরনের হয়রাণিমূলক মামলা থেকে আমাকে ও কলেজ ছাত্রসহ দুই ছেলেকে অব্যাহতি দানে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!