ফাইলে জটিলতা দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সিইও

অভিযোগ গেল মেয়রসহ ৪ দপ্তরে

দপ্তরে ফাইল গেলেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি করে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেন সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে। বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে মেয়রকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর খবরও এসেছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। তার দপ্তর যেন টাকা আয়ের কারখানা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ জমা পড়েছে মেয়র বরাবরে। এছাড়া এই অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে।

এই অভিযোগটি করেছেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চেতনা বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে আমজাদ হোসেন।

অভিযোগে সীমাহীন দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুপ্তচর ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সিটি মেয়রের তিন বছরের বিদ্যমান সাফল্য বাধাগ্রস্তকারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আপনি (মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী) নগর পিতা। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর ৭০ লাখ মানুষের অভিভাবক। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বসে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তিনি তার দপ্তরকে টাকা আয়ের কারখানা বানিয়েছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ফাইলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্তরের সুবিধাভোগীদের মুঠোফোনে কল দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যার কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন-৪১ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করবে। এই কর্মকর্তার আরও অনেক ফিরিস্তি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নথিপত্রের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত গোপন বিষয়াদি বিভিন্ন মহলে আলোচনা সৃষ্টি করে ভাবমূতি নষ্ট করছেন এই কর্মকর্তা।

তৌহিদুলের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে। সে যে একজন সাবেক শিবির ক্যাডার ছিলেন তার সত্যতা তদন্ত করলে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।

অভিযোগে বলা হয়, ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনলাইন ও বিভিন্ন পত্রিকায় দুর্নীতি খবর প্রকাশ হয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে এসব তথ্য সংরক্ষিত আছে।

অভিযোগ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। আপনি (প্রতিবেদক) এটি দেখতে পারেন। আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!