ফটিকছড়িতে বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্তের ঢল

ইমামুল আউলিয়া সৈয়দ গোলামুর রহমান ওরফে বাবা ভাণ্ডারীর খোশরোজ শরীফে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে লাখো ভক্তের ঢল নেমেছে।

এ উপলক্ষে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মহামিলনমেলায় পরিণত হয়েছে মাইজভাণ্ডার এলাকা। চারিদিকে আল্লাহু আল্লাহু রবে জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, কাওয়ালী ও ছেমা মাহফিল চলছে। সবখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ২৯ আশ্বিন শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ছিল ওরশের মূল দিবস।

খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া রহমান মঞ্জিল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনদিনব্যাপী মহাসমারোহে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর সকালে রওযা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো; শুক্রবার সকাল থেকে মিলাদ মাহফিল, কোরান খতম, জিকির আজকার, মাইজভাণ্ডারের বিশেষ আকর্ষণ কওয়ালী , মাইজভাণ্ডারী মরমী সঙ্গীত, মাইজভাণ্ডারী দর্শনের ওপর আলোচনা সভা রয়েছে।

শনিবার তবারুক বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে সকালের আয়োজন।

শুক্রবার গভীর রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি হযরত মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্তরা দরবারে আসেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাইজভাণ্ডারের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুষ্ঠুভাবে ওশর পালনের জন্য পুলিশ র্যাব ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভক্ত আনজামের জন্য প্রয়োজনীয় পানি, সেনিটেশন, চিকিৎসা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওরশ উপলক্ষে বিভিন্ন রওয়াজা শরীফকে সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। পুরো মাইজভাণ্ডার এলাকায় ব্যবসায়ীরা হরেক রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছে। দূর- দূরান্ত থেকে আগতরা গাউসুল আজম হযরত আহমদ উল্লাহ(ক.), হযরত গোলামুর রহমান (ক.) বাবা ভাণ্ডারী ও শাহানশাহ হযরত জিয়ারুল হক মাইজভাণ্ডারীর মাজারে হেয়ারত করে দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তির জন্য কান্না করছেন ভক্তরা। মাজারে মাজারে মিলাদ মাহফিল চলছে। মাইজভাণ্ডারের চারদিকে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাফেলা সাজিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভক্তরা।

রাতে গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন শাহছুফি সৈয়দ মুজিবুল  বশর মাইজভাণ্ডারী (মাজিআ), গাউছিয়া হক মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন শাহছুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান (মাজিআ) গাউছিয়া মাইজভাণ্ডারীয়া মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন শাহছুফি সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (মাজিআ) আলাদাভাবে মোনাজাত পরিচালনা করেন। ভোররাতে তবারুক বিতরণের পর শেষ হবে এ মিলনমেলা।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে। আশাকরি ভক্তরা নিরাপদে মাইজভাণ্ডার দরবার থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন।’

ভাণ্ডারীর পৌত্র বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি ও ফটিকছড়ির সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘দূর-দূরান্তের ভক্তরা মাইজভাণ্ডারে আসেন দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!