পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধে সড়কে স্বস্তি সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী সবরকম যানবাহন বন্ধ করে দেয়ায় সড়কে যানজট কমে ঈদে ঘরমুখী মানুষদের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসছে। তবে সীতাকুণ্ডে গত কয়দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্পটগুলোতে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখী ঈদযাত্রীদের ঘরে ফেরা ও গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কারণে কয়দিন ধরে মহাসড়কে থেমে থেমে এ যানজটের সৃষ্টি হয়ে ছিল। কিন্ত রবিবার থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলো বন্ধকরে দেয়ার কারণে মহাসড়কে করে যানজট কমে যায়।

বুধবার (৫ জুন) ঈদের সম্ভাবনায় নির্বিঘ্নে যার যার গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে পারছে বলে জানান নওগাঁ যাওয়ার উদ্দেশ্যে সীতাকুণ্ডে বাস স্টেশনে অপেক্ষমাণ মো. জোরদার আলি ও সাইমন চৌধুুরী। তারা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বিভিন্ন স্পটে কিছুটা থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছিল। তবে এখন আর যানজট অথবা গাড়ির চাপ একেবারেই নেই বললে চলে। ফলে যাত্রীরা ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে। গত বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের অংশে চট্টগ্রামের সিটি গেইট থেকে শুরু করে বড় দারোগার হাট পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ঘরমুখী যাত্রীদেরও অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। এ বছর মহাসড়কে আগের মত সেই যানজট নেই। সড়ক অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে।

বগুড়ার যাত্রী রমিজ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, তাদের পরিবারের মা বাবা ও স্ত্রী সন্তানদের সাথে নিয়ে ঈদ করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ একবছর পর তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা বলেন, কিছুদিন আগে উপজেলার ফৌজদারহাট, ভাটিয়ারি, কদমরসুল, মাদাম বিবিরহাট, কুমিরা, বড়দারোগারহাটসহ বিভিন্ন স্পটে বৃষ্টির কারণেও গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়ে ছিল। তা দেখে আমরাও অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। একসময় গ্রামের বাড়িতে যেতে অনেক কষ্ট ও দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে আমাদের সকলের। বর্তমানে সে অবস্থা নেই। যারা অফিস ও তাদের কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়েছে তারাই পরিবার নিয়ে আগেভাগে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। তাই এখন মহাসড়কে গাড়ির চাপ নেই। সরকারি উদ্যোগের কারণে মহাসড়কে আগের মত যানজট নেই।

এদিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভাস্থ এলাকায় দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আল আমিন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো প্রকার যানজট নেই।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!