লন্ডনে মাশরাফি-মুশফিকদের অন্যরকম এক ঈদ

ঈদের নামাজে যাননি তামিম ও মোস্তাফিজ

ঈদের প্রস্তুতি জেনে সুটকেসে আগেই এক জোড়া পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছিলেন রুবেল হোসেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও তাই। আর মেহেদি হাসান মিরাজের তো প্রিয় পোষাক পাঞ্জাবি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বা মুশফিক রহিমের জন্যও দেশের বাইরে ঈদ করা নতুন কিছু নয়। বিশ্বকাপের মাঝেই ঈদ উৎসব-এটা জেনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবারের ঈদের আনন্দ একসঙ্গে পান করতে পরিবারকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।

একটু আগে ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার সাব্বির খান শাফিনের ফেসবুকে দেয়া ছবি দেখেই খটকা লেগেছিল। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতে নেই বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের থাকার তো প্রশ্নই আসে না।
লন্ডনে মাশরাফি-মুশফিকদের অন্যরকম এক ঈদ 1
পনের জনের বহরের এগারো জন গিয়েছিলেন নামাজ পড়তে। বাকি চারজন কই? ভিন্নধর্মী দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস ছিলেন টিম হোটেলেই, যা থাকাই স্বাভাবিক। তবে দলের বাকিদের সঙ্গে নামাজে যাননি তামিম ইকবাল এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

কেনো যাননি? কোনো ইনজুরি সমস্যা নয়তো? বা হুট করে কোনো অসুস্থতা পেয়ে বসলো না তো আবার? এ বিষয়ে দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম নিশ্চিত করেছেন তামিম বা মোস্তাফিজ সুস্থ্যই আছেন। তবে কেনো নামাজে যাননি সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় কেউ। কারণ এটি পুরোপুরি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।

তবে ধারণা করা হচ্ছে নিরাপত্তা ইস্যুতেই দলের সঙ্গে নামাজে যাননি তামিম। কারণ এসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে এ ইংল্যান্ডেই এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়া হয়েছিল তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলাটিও খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। দুই মিলিয়ে হয়তো ঝুঁকি নিতে চাননি দেশসেরা এ ওপেনার।

এদিকে দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে ক্রিকেট দলের সদস্যদের সঙ্গে একই মসজিদে নামাজ পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ইস্ট লন্ডন, ব্রিকলেন, হোয়াইট চ্যাপেলের মতো জায়গা বাদ দিয়ে রিজেন্ট পার্কের নিকটে বিখ্যাত সেন্ট্রাল মস্কো অব লন্ডনে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছে বাংলাদেশ দল। মূলত নিরাপত্তার কারণেই খানিক দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করা হয়েছে। সেখানে ছিলেন বোর্ড সভাপতিও।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!