পটিয়ায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে নেই সামাজিক দূরত্ব। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুল-কলেজের খেলার মাঠে বসানো হয়েছে বাজার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এ ব্যতিক্রমি আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১২ এপ্রিল) থেকে পটিয়ার সব হাট-বাজারগুলোকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুল-কলেজের খোলা মাঠে বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
জানা গেছে, রবিবার সাপ্তাহিক আশিয়া বাংলা বাজারের কাঁচাবাজার আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে, সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার শান্তির হাট বসেছে কুসুমপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আর অন্যান্য দোকানগুলো রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে বসানো হয়েছে।
এছাড়া রমজান আলী হাট-বাজারের কাঁচাবাজার পার্শ্ববর্তী রাউজান আর্য মৈত্রেয় ইনস্টিটিউশন খেলার মাঠে বসানো হয়। সকালে আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান।
এসময় তিনি জানান, সাপ্তাহিক বাজার গুলোতে প্রচুর লোক সমাগম হয়। তাতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা এবং তা জনগণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য উপজেলার স্থানীয় বাজার কমিটির সাথে আলোচনা করে পুলিশের সহায়তায় প্রতিটি সাপ্তাহিক বাজার গুলোকে অস্থায়ীভাবে আশপাশের স্কুলমাঠে বসানোর কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে উপজেলার প্রতিটি বাজারের সবজি বিক্রেতারা স্কুলমাঠে বেচাকেনা করবেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা আবার নিজেদের জায়গায় ফিরে যাবেন।
এছাড়াও পটিয়ার সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার শান্তির হাটের বাজারে প্রায় ৩০০ সবজি দোকানি আছেন। প্রতিটি দোকানের মধ্যে ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব রেখে মাঠে সারিবদ্ধভাবে সবজি বাজার বসানো হয়েছে।
আর ক্রেতাদের চলাচলের জন্য এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব রাখা হয়েছে ২০ ফুট।
এসএইচ