দেড় যুগ পর পুলিশের কব্জায় দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার কফিল

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ১৪ এপ্রিল শিবিরের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি শিবির ক্যাডার কফিল উদ্দিনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে আটক করে চান্দগাঁও থানা।

গ্রেপ্তার কফিল উদ্দিন হাটহাজারী থানার উত্তর মাদার্শা এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। নগরীর হাজীরপুল এলাকায় বসবাস করতো সে।

জানা গেছে, শিবির ক্যাডার কফিল উদ্দিন এইট মার্ডারের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে পলাতক হাবিব খানের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতো। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশে এসি আব্দুল মান্নানের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাসহ একাধিক নাশকতার মামলাও রয়েছে।

তবে এসব মামলায় পলাতক ছিল এতদিন। দীর্ঘ দেড়যুগ পর আটক হল এই দুর্ধর্ষ ক্যাডার। ২০০৪ সালে অস্ত্র কেনার জন্য চান্দগাঁওয়ে ফিল্মি স্টাইলে বেইস টেক্সটাইল এর ৫৬ লাখ টাকা বহন করা গ্রুফ ফোর এর গাড়িতে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায়ও প্রধান আসামি কফিল।

এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁওয়ে ৯৭ সালে ট্রিপল মার্ডার ও ২০০০ সালে এইট মার্ডারের জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও, এসব মামলা থেকে বেঁচে যায় সে।

আন্ডারওয়ার্ল্ড এ দীর্ঘ দুইযুগ অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল কফিল। অস্ত্র ব্যবসা, নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজিসহ বিস্তর অপরাধে জড়িত থাকলেও দীর্ঘ দেড় যুগ পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এই শিবির ক্যাডার।

চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম তারাবাহির নামাজের সময় নামাজকে কেন্দ্র করে সহিংসতাকারী শিবির ক্যাডার মো. কফিল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানায় বিস্ফোরক ও নাশকতার দুটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রিমান্ডের জন্য আবেদন করে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরএ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!