টেকনাফ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ভাংচুর

টেকনাফ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ভাংচুর 1টেকনাফ প্রতিনিধি : যুগ যুগ ধরে শিক্ষার হার থেকে পিছিয়ে পড়া সীমান্ত ও পর্যটন নগরী এই টেকনাফ উপজেলা। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও রোহিঙ্গাদের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশে শিক্ষার মান উন্নয়ন হলেও টেকনাফে তার ব্যতিক্রম। ইদানিং শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট আসক্ত হয়ে পড়েছে। দিন-রাত ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ নানান শোস্যাইল মিডিয়াই লেগেই থাকে। এতে আরো ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এসব মাথায় রেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও শিক্ষকরা স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল না দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন এবং শিক্ষার্থীদেরকেও নিষেধ করা হয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা জন্য।

টেকনাফ উপজেলাকে শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়ার বদনাম থেকে রেহাই পেতে এবং শিক্ষার মান ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশের হার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতার টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গত ৯ আগষ্ট টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের তল্লাশী করে জব্দ করেছে ৪০ টি মোবাইল ফোন।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ইদানিং টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল চলাকালীন শ্রেনী কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এতে লেখা পড়া অবনতি হচ্ছে দিনের পর দিন। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ব্যবহার না করার জন্য কঠোর ভুমিকা হাতে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৪ মাস ধরে তাদেরকে এই সর্তকতা ও নোর্টিশ জারি করে আসছে শিক্ষকরা। কিন্তু ছাত্ররা শিক্ষকদের কথা না মেনে নিয়মিত ক্লাস রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার অব্যাহত রাখে। অবশেষে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মো: আলম বাহাদুরের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকরা ৮ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রদের কাছ থেকে প্রায় ৪০টি ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করে ভেঙ্গে পেলে। বিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগটি টেকনাফের সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে টেকনাফের সুশীল সমাজ।

এব্যাপারে অভিভাবক ও সাংবাদিক কাইছার পারভেজ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমি সাধুবাদ জানাই। পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকগন চাইলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আসছে। তাদেরকে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে বিভিন্ন কৌশলে সর্তক বানী দিয়ে আসছে শিক্ষকরা। অথচ ছাত্রদের দিন দিন এই অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং শ্রেনী কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোযোগীতার ফলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী এই কঠোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!