জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুই বাড়িতে তল্লাশি

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুই বাড়িতে তল্লাশি 1নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর আকবর শাহ থানার দুটি এলাকায় দুটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বাড়ি দুটি হচ্ছে, কর্নেল হাট সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে মোয়াজ্জেম হোসেনের ও উত্তর কাট্টলি ঈশান মহাজন সড়কে শ্রীশ সাহার ।
সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে দিকে প্রথমে কর্ণেলহাটের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশের কিছু সদস্য গিয়ে উত্তর কাট্টলির বাড়িটি ঘেরাও করে। পরে উত্তর কাট্টলির বাড়িতে এবং পর্যায়ক্রমে কর্ণেলহাটের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় ।

তবে, অভিযানে জঙ্গি সন্দেহে কাউকে পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজারে সাধন কুটির থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি দম্পতি জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীতে তাদের আরও দুই-তিনটি আস্তানা আছে। এই তথ্য পাবার পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা দ্রুত সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহারের সঙ্গে গিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্রুত আকবর শাহ থানা এলাকায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

উপ পুলিশ কমিশনার ফারুকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ৮ মার্চ থেকে আমাদের জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে। এই অভিযানের আওতায় আমরা কর্ণেলহাটে এবং উত্তর কাট্টলিতে অভিযান চালিয়েছি। পুরো নগরীতে আমাদের জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে উত্তর কাট্টলি এলাকার ঈশান মহাজন সড়কে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার সামনে শ্রীশ সাহার পাঁচতলা বাড়ি।
শ্রীশ সাহা বলেন, সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আমি চার বছর আগে বাড়িটি করেছি। আমার ভাড়াটিয়া যারা আছেন আমি তাদের সবাইকে চিনি। আমার বাড়িতে রাষ্ট্রবিরোধী কিংবা সমাজবিরোধী কোন কার্যকলাপ হয় না।

ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া পিডিবির সাবেক কর্মকর্তা সুনীল কান্তি সেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবার পরিচয়পত্র বাড়ির মালিকের হাতে জমা আছে। এই বাড়িতে কখনও সন্দেহজনক কিছু আমি দেখিনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনের মালিকানাধীন মমহ ভবন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। কর্ণেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতি শিক্ষা নিকেতনের পাশে চারতলা এই বাড়ি। মমহ ভবনের আটটি ফ্ল্যাটেও গিয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ।

তল্লাশি চালানোর আগে দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুই জঙ্গি তাদের আরও ২-৩টি হাইড আউটের কথা জানিয়েছে। আকবর শাহ থানা এলাকায় একটি কিংবা একের অধিক আছে।

আকবর শাহ থানা এলাকার আস্তানায় দ্রুত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের কথা তখনই জানিয়েছিলেন ডিআইজি।

এর আগে ১৫ মার্চ দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ রোডের চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার বিকেল তিনটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০ ঘণ্টার এ অভিযানে ২০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!