চান্দগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে শঙ্কায় মামলার বাদি, পুলিশ নিরব

তরুণীকে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মামলা করায় উল্টো সন্ত্রাসীদের হুমকিতে জীবন শংকায় রয়েছেন বাদি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও গ্রেপ্তার করছে না চান্দগাঁও থানা পুলিশ। বাদির অভিযোগ গ্রেপ্তার নয়, বরং পুলিশের সঙ্গেই বিশেষ সখ্য থাকায় মামলা হওয়ার পরও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। তারা মামলা প্রত্যাহারের জন্যও ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তবে চান্দগাঁও থানা পুলিশ বলছে, আসামিদের পেলেই তারা গ্রেপ্তার করবে।

মামলা প্রত্যাহারে আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ওই মামলার বাদি আবু বকর চৌধুরী পিতা আবুল কাসেম চৌধুরী ৩ অক্টোবর চান্দগাঁও থানায় ডায়েরি করেছেন। এরপরও পুলিশের সহায়তা কিংবা হুমকির বিষয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে। পুলিশের রহস্যজনক নীরবতায় পরিবারের সদস্যদের জীবন হুমকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, চাঁদা আদায়ের কৌশল হিসেবে চান্দগাঁও এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কাশেম চৌধুরীর মালিকানাধীন কলোনির ভাড়াটিয়া এক তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল একদল বখাটে। নির্যাতন ও চাঁদার প্রতিবাদ করায় আবুল কাশেম চৌধুরীর ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তার ছেলে আবু বকর চৌধুরীকেও মারধর করা হয়। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর আসামিরা কলোনিতে এসে অস্ত্র উঁচিয়ে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময় বখাটেরা বাড়ির সামনে এসে মামলা উঠিয়ে না নিলে বাদিকে খুন করার হুমকি দেয় প্রকাশ্যে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে কলোনিতে নারীদের উত্যক্তকারীকে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় বাড়ির মালিকের ওপর হামলা ও ভাংচুর চালায় ওই উত্যক্তকারীরা। হামলায় আহত কাশেম কলোনির মালিকের পুত্র আবু বক্কর চৌধুরী বাদি হয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ১০ জন হামলাকারী ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আসামিরা মামলা প্রত্যাহারে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে।

এ বিষয়ে ৩ অক্টোবর রাতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে আবু বকর, আমান উল্লাহর ছেলে মো. মামুন, মো. সাকিব ও মো. মহিউদ্দিন, আলী আকবরের ছেলে সাজ্জাত, আলী আকবর আবু বক্করের মো. ইমরান এবং আলী আকবরের ছেলে মিজান। এদের সবার বাড়ি নগরের চান্দগাঁও থানা রেয়াজউদ্দিন উকিল বাড়ি এলাকার।

মামলার বাদি আবু বকর চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আসামিরা চান্দগাঁও এলাকার বরিশ্যাইল্লা বাজার এলাকার উকিলবাড়ি সড়কের কাশেম কলোনি এলাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা প্রত্যাহারে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। এসব বিষয়ে চাঁন্দগাও থানার ওসি আবুল কালামকে জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি। এছাড়া হুমকির বিষয়ে আমার বাবা চান্দগাঁও থানায় ডায়েরি করে পুলিশকে অবহিত করেছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আসামিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা চট্টগ্রামে নেই। তবে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!