চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারী খুনের মামলায় একদিনেই সাক্ষ্য দিলেন পাঁচজন

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারী হত্যামামলায় এক দিনে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিলেন চট্টগ্রামের আদালত। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান ভান্ডারী।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক অপরূপ কান্তি দাস, সুরতহাল সাক্ষী এসআই গোলাম কিবরিয়া, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, পাবলিক নুরুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন।

পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসক অধ্যাপক অপরুপ কান্তি দাস, সুরতহাল সাক্ষী এসআই গোলাম কিবরিয়া আদালতে জানান, ‘ভিকটিম জিল্লুর শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। তার দুই পায়ের রানে দুটি গুলি বিদ্ধ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর তার মৃত্যু হয়।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় উচ্চ আদালত ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আলোকে আজ একদিনেই পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। বিচারক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন। আগামী ১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।’

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভান্ডারীকে আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর ও উপর্যুপরি গুলি করে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে হাসপাতালে মারা যান জিল্লুর।

এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি ভিকটিমের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সিআইডি এ মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০১৯ সালের ২৮ মে মামলার ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেয় আদালত।

চার্জশিটে থাকা এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী খোকন ও জসিম কারাগারে। সাত আসামি পলাতক রয়েছে। চারজন রয়েছে জামিনে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!