ঘটনা স্বীকার গেলেন চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার জেএমবি জঙ্গিরা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ষােলশহর ২ নম্বর গেইট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় লোহাগাড়া থেকে গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির ৬ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান, সফি উদ্দিন ও সরোয়ার জাহানের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বুধবার ভোরে লোহাগাড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রযুক্তি সহযোগিতায় আমরা নব্য জেএমবির ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ পর্যালােচনা এবং প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের সনাক্ত করি। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা নিষিদ্ধ ঘােষিত জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়ন ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্যে স্থানীয়ভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও অনলাইনে পাওয়া অপ্রচলিত মােবাইল ফোন অ্যাপস ব্যবহার করে ঐ অ্যাপসের মাধ্যমে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করত।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটায় পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনাকে প্রথমে বৈদ্যুতিক গোলযোগের বিস্ফোরণ ভাবা হলেও তদন্তে উঠে আসে এটি ছিল বোমা বিস্ফোরণ। বোমা হামলার পরদিন পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এই মামলায় ইতোপূর্বে জেএমবির ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং আদালতের আদেশে সবাই কারাগারে আছেন।

নতুন আটক জেএমবির ছয় সদস্য হলেন মহিদুল আলম (২৪), মাে. জহির উদ্দিন (২৮), মাে. মঈন উদ্দিন (২০), মাে. আবু সাদেক (১৯), রহমত উল্লাহ আকিব (২৪) এবং মাে. আলাউদ্দিন। এরা সবাই লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা।

পুলিশবক্সে বোমা হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত দশ জন নব্য জেএমবির সদস্য আটক করে আদালতে সোপর্দ করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। দশজনই নিজেদেরকে জেএমবি সদস্য দাবি করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং সবাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!