চবি উপাচার্য শিরীণ আখতারের গল্পে নির্মিত হচ্ছে ‘যুদ্ধজীবন’

অভিনয়ে ফেরদৌস-নাবিলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের লিখা ‘যুদ্ধজীবন’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সিনেনা। যুদ্ধজীবন নামে এই সিনেমা নির্মাণে অনুদান দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ৮০’র দশক পরবর্তী সত্য একটি ঘটনা অবলম্বনে এ সিনেমা নির্মিত হচ্ছে।

চবি উপাচার্য শিরীণ আখতারের গল্পে নির্মিত হচ্ছে 'যুদ্ধজীবন' 1

যুদ্ধজীবন সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ড. শিরীণ আখতারের মেয়ে খ্যাতনামা পরিচালক রিফাত মোস্তফা টিনা। যুদ্ধজীবন সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মহিউদ্দিন। চট্টগ্রামে চলছে এই সিনেমার প্রথম লটের শ্যুটিং।

যুদ্ধজীবন সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস আহমেদ। তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়িকা নাবিলা।

গত সোমবার থেকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা নাবিলা এ সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের ঈদ গাহ এলাকায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এই সিনেমার প্রাথমিক শ্যুটিং সম্পন্ন হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে যে জনসভা হয়েছিল, তাতে আমি বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৩ বছর। আমরা স্কুল জীবনেই স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলাম। আমার পিতা ও স্বামী দুইজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা। খুব কাছ থেকে আমি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি। আমার স্মৃতিতে যোদ্ধাদের সংগ্রামী জীবন এখনো ভেসে বেড়ায়। আমার লিখা গল্প যুদ্ধজীবনের আলোকে এবার প্রথম একটি সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয় এ সিনেমার জন্য অনুদান দিয়েছে। বিষয়টি আমার জন্য, চট্টগ্রামবাসীর গৌরবের।’

সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা রিফাত মোস্তফা টিনা বলেন, যুদ্ধজীবন মূলত সত্য ঘটনা। আমার মা অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই সিনেমা। প্রথম লটে আমরা টানা সাত-আট দিন শুটিং করবো। আগামী মাসে দ্বিতীয় লটে দশ দিনের শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দৃশ্য ধারণ। এরপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করবো।

এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, এর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্পে নির্মিত ‘দামপাড়া’ সিনেমার কাজ করেছিলাম চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়বারের মতো পুরো কোনো সিনেমার কাজ করছি চট্টগ্রামে। যুদ্ধজীবনের গল্পটা আশির দশক-পরবর্তী সত্য একটি ঘটনা অবলম্বনে। আপাতত গল্পটা শেয়ার করতে পারছি না। এতটুকু বলতে পারি গল্প, বিষয় আর চরিত্র সংশ্লিষ্ট স্থানেই শুটিং হচ্ছে। কাজটি করতে ভালো লাগছে। সেই সময়টাকে অনুভব করার চেষ্টা করছি।

নায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে আছেন অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম। নাবিলা বলেন, ‘প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ম্যামের অসাধারণ গল্প যুদ্ধজীবন। গল্পটি অনেকেই পড়েছে হয়তো। সিনেমার চিত্রনাট্যটা দেখে আমার দারুণ হয়েছে। এমন একটি সিনেমায় অভিনয় করতে পেরে ভাল লাগছে। নাবিলা আরও বলেন, শ্যুটিংয়ের জন্য আমরা এক সপ্তাহ চিটাগং অবস্থান করছি। আমাদের টিমওয়ার্কও দারুণ হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!