চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসছে মরণঘাতী ঘনচিনি

ঢাকার বংশালের ডিএসএস এন্টারপ্রাইজের সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় বন্দরে আসা একটি চালানে ১৯ টন আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) পাওয়া গেছে।

সাধারণ চিনির তুলনায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘনচিনিতে ক্যান্সার রোগ সৃষ্টির অন্যতম উপাদান রয়েছে। চালানটি মিথ্যা ঘোষণায় ছাড় নেওয়ার আগেই আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সালাহ উদ্দিন রিজভী বলেন, ‘ঢাকার বংশালের ডিএসএস এন্টারপ্রাইজের মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করেন ১৯ টন ঘনচিনি ও ১ টন সোডা অ্যাশ। যা আটক করা হয়েছে।’

সূত্র জানায়, চীনের জিনদাও বন্দর থেকে গত ১৮ মে এইচআর হেরা জাহাজে করে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের রিক্স ম্যানেজম্যান এনালাইসিসের আওতায় বিল অব লোডিং (বিএল) আ্যাসাইকুডা ওয়াল্ড সিস্টেমে লক করা হয়।

আমদানিকারক চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু না করায় কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিমের সহায়তায় বুধবার (২৫ মে) শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য কনটেইনারটি নেমসন কনটেইনার ডিপোতে ফোর্স কিপ ডাউন করা হয়।

এরপর কায়িক পরীক্ষার সময় পণ্যের বস্তার ওপর আমদানিকারকের নাম ও অন্যান্য তথ্যসহ অপসারণযোগ্য স্টিকার পাওয়া যায়। বস্তার ভেতরে আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি পাওয়া যায়। যা মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!