চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে এলেন নতুন কমিশনার, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির অঙ্গীকার

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে যোগদান করেছেন নতুন কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম। রোববার (৯ জুন) সকালে তিনি যোগদান করেন। এর আগে ফখরুল আলম ঢাকা- ২ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সদ্যবিদায়ী কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে নিয়ে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে আমি সৎ করদাতাবান্ধব এবং জনকল্যাণমুখী দপ্তর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই হাউজ হবে বিনিয়োগবান্ধব।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে বিভিন্ন সময় সহকারী কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফখরুল আলম বলেন, দেশের রাজস্ব আহরণের বড় খাত হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই হাউজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ এবং ৪০৪১ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ভূমিকাকে আরো উজ্জ্বল করতে আমি কাজ করে যাবো।

রাজস্ব সেক্টরে ২৪ বছর ধরে সম্পৃক্ত থাকা নতুন কমিশনার ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দেশের নয়টি জাতীয় বাজেট প্রণয়নে আমার সম্পৃক্ততা ছিলো। সেসব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়নে যাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সকলকে নিয়ে আমি সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে সিন্ডিকেট প্রথা এবং মিথ্যে ঘোষণায় পণ্য আমদানি এবং পণ্য আটক সম্পর্কে ফখরুল আলম বলেন, কোন সৎ ব্যবসায়ী যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করবো। যেসব পণ্য আটক করা হয়েছে বিশেষ টিম গঠনের মাধ্যমে সেগুলো পরিদর্শন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেগুলো যাতে খালাস করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়ম পরিপন্থী কিছু ঘটলে সেগুলো কাস্টমস আইন অনুযায়ী যা করার তাই করবো।

এসসি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!