চট্টগ্রামে ৩০ স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের ‘পথের কাঁটা’, ২১ দলের শতাধিক প্রার্থীই অচেনা

নওফেলের ঠিকানা বদল, বাচ্চুর ‘দলবদল’

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে সবমিলিয়ে মোট ১৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক প্রার্থীই এলাকায় প্রায় অপরিচিত।আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাইরে বাকি সকলেই ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন—এলাকায় যাদের পরিচিতি বলতে তেমন কিছু নেই। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন, যাদের প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগের নেতা। ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ‘পথের কাঁটা’ উঠতে পারেন এদের অনেকেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরী ও জেলা মিলিয়ে মোট ১৬টি আসনের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে সর্বাধিক ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সবচেয়ে কম মাত্র পাঁচটি মনোনয়ন জমা পড়েছে চট্টগ্রাম-৭ (রাউজান) আসনে।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগসহ মোট ২২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের সরাসরি মনোনয়ন পাওয়া ১৬ জন প্রার্থীর পাশাপাশি জাতীয় পার্টির ১৫ জন এবং তৃণমূল বিএনপির ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দুজন নারী প্রার্থী এবার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। অন্যদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী রেখা আলম চৌধুরী।

নওফেলের ঠিকানা বদল, বাচ্চুর ‘দলবদল’

নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া মনোনয়নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এবার তার ঠিকানা বদলে গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নওফেলের ঠিকানা লেখা ছিল তাদের পৈতৃক বাড়ি — ২০৭ চশমা হিল আবাসিক এলাকা, ডাকঘর: পলিটিক্যাল ইন্সটিটিউট ৪২০৯, খুলশী। আর এবার জমা দেওয়া হলফনামায় নওফেলের পুরনো পৈত্রিক ঠিকানা বদলে নতুন ঠিকানা লেখা হয়েছে— গ্রাম: হাজারী লেইন, কে সি দে রোড, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী হিসেবে— বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলেও চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা এক নথিতে দেখা যায়, ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবেই।

‘ভুয়া’ পিডিএফ ফাইলের সূত্র ধরে তাকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী হিসেবে জড়ানোর চেষ্টাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে আরশেদুল আলম বাচ্চু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার সম্মানহানির জন্য এটা কেউ ষড়যন্ত্র করে সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছে। স্পষ্টই বোঝা যায়, এখানে ‘স্বতন্ত্র’-এর জায়গায় ‘এনপিপি’ শব্দটা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আমি আমার নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরও জমা দিয়েছি। এসব তো একদিনে করা সম্ভব নয়।’

চেনা-অচেনা দল থেকে শতাধিক প্রার্থী

১৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মোট ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে শতাধিক প্রার্থীই এলাকায় প্রায় অপরিচিত। ক্ষুদ্র ও নবগঠিত বিভিন্ন দল থেকে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরকম দলের মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তজোট, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), ইসলামিক ফ্রন্ট, খেলাফত আন্দোলন, মুক্তিজোট, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে), কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৮ জন। এরা হলেন—মাহবুব উর রহমান রুহেল (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (স্বতন্ত্র), মো. ইউসুফ বাংলাদেশ (ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ), এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (মুসলিম লীগ – বিএমএল), নুরুল করিম আফছার (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি), দিলীপ বড়ুয়া (সাম্যবাদী দল – এমএল) এবং আব্দুল মন্নান (ইসলামিক ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১২ জন। এরা হলেন—খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (তরীকত ফেডারেশন), শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), মজহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্প ধারা বাংলাদেশ), শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এমএ মতিন (ইসলামিক ফ্রন্ট) এবং গোলাম নওশের আলী (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১০ জন। এরা হলেন—মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নুরুল আক্তার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), এমএ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্যাহ খাঁন (ইসলামী ফ্রন্ট), আব্দুর রহীম (ইসলামী ফ্রন্ট), নিজাম উদ্দিন নাছির (জাকের পার্টি), আমিন রসুল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তজোট), মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি) এবং নুরুল আনোয়ার (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি)।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৮ জন। এরা হলেন—এসএম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), দিদারুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), আকতার হোসেন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং সালা উদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৭ জন। এরা হলেন—আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ), আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), কাজী মহসীন চৌধুরী (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি), নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম), নাছির হায়দার করিম (স্বতন্ত্র), আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দীন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ) এবং শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৫ জন। এরা হলেন—এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স ম জাফরউল্লাহ (ইসলামী ফ্রন্ট), ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), শফিউল আজম (স্বতন্ত্র) এবং সফিক-উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৬ জন। এরা হলেন—হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আহমদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (ইসলামী ফ্রন্ট), মোরশেদ আলম (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি) এবং খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি)।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১৩ জন। এরা হলেন—নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), আরশেদুল আলম বাচ্চু (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি), এসএম আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াস (কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট), কামাল পাশা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), আবদুন নবী (ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র) এবং মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৭ জন। এরা হলেন—মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামী ফ্রন্ট), মিটল দাশ গুপ্ত (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – ন্যাপ), আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন (কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি) এবং সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১২ জন। এরা হলেন—মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), ফরিদ মাহমুদ (স্বতন্ত্র), ফেরদাউস বশির (তৃণমূল বিএনপি), ওসমান গনি (স্বতন্ত্র), আলমগীর ইসলাম বঈদী (ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মো. জয়নুল আবেদীন (ইসলামী ফ্রন্ট), মিজানুর রহমান (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), আনিসুর রহমান (জাসদ), মঞ্জুরুল ইসলাম (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ) এবং ফয়সাল আমিন (স্বতন্ত্র)।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৯ জন। এরা হলেন— এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), রেখা আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বাশার মো. জয়নুল আবেদীন (ইসলামী ফ্রন্ট), মহি উদ্দিন (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), নারায়ন রক্ষিত (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি) এবং উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম)।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১০ জন। এরা হলেন—মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন), মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া (স্বতন্ত্র), নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), কাজী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট) এবং ছৈয়দ জয়নুল আবেদীন জেহাদী (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৭ জন। এরা হলেন—সাইফুজ্জামান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), আরিফ মঈন উদ্দীন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (খেলাফত আন্দোলন) এবং আবুল হোসেন (ইসলামী ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৮ জন। এরা হলেন—নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আলী ফারুকী (তরীকত ফেডারেশন – বিটিএফ), আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ জাতীয় পার্টি), গোলাম ইসহাক খান (ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (সুপ্রিম পার্টি – বিএসপি) এবং সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (ইসলামী ফ্রন্ট)।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৯ জন। এরা হলেন—আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), আলী হোসাইন (ইসলামী ফ্রন্ট), জসিম উদ্দিন (মুক্তিজোট), আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ হারুন (ইসলামী ঐক্যজোট – আইওজে), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র) এবং সোলাইমান কাসেমী (কল্যাণ পার্টি)।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিলেন

এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১৩ জন। এরা হলেন—মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আওয়ামী লীগ), আবদুল্লাহ কবির লিটন (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মামুন আবছার চৌধুরী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি), আশীষ কুমার শীল (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – ন্যাপ), আব্দুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট), মহিউল আলম চৌধুরী (ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ), এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), শফকত হোসাইন চাটগামী (ইসলামী ঐক্যজোট) এবং জিল্লুল করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!