স্বতন্ত্র হিসেবেই ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের আরশেদুল আলম বাচ্চু

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই। এর আগে ছড়িয়ে পড়া এক পিডিএফ ফাইলের সূত্র ধরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, বাচ্চু ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা এক নথিতে দেখা যায়, ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই।

‘ভুয়া’ পিডিএফ ফাইলের সূত্র ধরে তাকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী হিসেবে জড়ানোর চেষ্টাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে আরশেদুল আলম বাচ্চু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার সম্মানহানির জন্য এটা কেউ ষড়যন্ত্র করে সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছে। স্পষ্টই বোঝা যায়, এখানে ‘স্বতন্ত্র’-এর জায়গায় ‘এনপিপি’ শব্দটা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আমি আমার নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরও জমা দিয়েছি। এসব তো একদিনে করা সম্ভব নয়।’

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আরশেদুল আলম বাচ্চু এর আগেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ার পর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১৩ জন। আরশেদুল আলম বাচ্চু ছাড়া বাকিরা হলেন—নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এসএম আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট – বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াস (কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট), কামাল পাশা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – এনপিপি), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), আবদুন নবী (ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র) এবং মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!