চট্টগ্রামের ১২ স্পটে বসল চেকপোস্ট, ১৮ ম্যাজিস্ট্রেট কড়া প্রহরায়

৫ চেকপোস্ট সচল ২৪ ঘন্টাই

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ‘কঠোরতম’ লকডাউনে চট্টগ্রামের প্রবেশপথসহ নগরীতে মোট ১২ জায়গায় বসেছে পুলিশ-বিজিবিসহ যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে আটকানো হচ্ছে এসব চেকপোস্টে।

এদিকে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত সরকারঘোষিত ১৪ দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে সক্রিয় রয়েছেন ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, এবারের বিধিনিষেধ হবে কঠোর থেকে কঠোরতম। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শিল্পকারখানা সবকিছুই বন্ধ থাকছে। এই প্রথম বন্ধ থাকছে গার্মেন্টস কারখানাও।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রধান দুই প্রবেশপথ সিটি গেইট ও শাহ আমানত সেতু এলাকা ছাড়াও নগরীর নগরীর অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মইজ্যার টেক ও বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। এই পাঁচ চেকপোস্টে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ ২৪ ঘন্টাই চলছে পালাক্রমে ডিউটি। এগুলোতে বিজিবি, আনসার, র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী পালাক্রমে ডিউটি করছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগরীর ভেতরের চেকপোস্টগুলো বসছে সাত স্পটে— কর্ণফুলী শাহ আমানত নতুন ব্রিজের পাশে গোল চত্বর, বহদ্দারহাট মোড়, জিইসি মোড়, একেখান মোড়, টাইগারপাস মোড়, আগ্রাবাদ বাদামতলী পশ্চিম পাশ ও নিমতলা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই চেকপোস্টগুলো সচল থাকছে।

এছাড়া সাতকানিয়ার কেরানীহাট, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ও মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে থাকছে আরও তিনটি চেকপোস্ট।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক টিম সক্রিয় রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নিচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।

শুক্রবার লকডাউনের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, ডবলমুরিং, সদরঘাট, খুলশী, বায়েজিদ, আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উমর ফারুক এবং সোনিয়া হক। এ সময় ১৬টি মামলার বিপরীতে ৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এদিন পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা এবং রাজিব হোসেন। তারা ১০টি মামলায় ১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

অন্যদিকে নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলী ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, হুছাইন মুহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং প্রতীক দত্ত। শুক্রবার পরিচালিত অভিযানে ৪টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তারা।

এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও খুলশী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি মামলায় ১ হাজার ২০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!