কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতবিনিময় সভায় সংগ্রাম-লিয়াকত গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১

কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতবিনিময় সভায় সংগ্রাম-লিয়াকত গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১ 1চট্টগ্রাম প্রতিদিন রিপোর্ট : বাঁশখালী গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মুহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি নিহত  ও ১৫ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে ।

সূত্র জানায়, বুধবার ( ১ ফেব্রুয়ারী ) গণ্ডামারার আভাইত্যার ঘোনা এলাকায় নৌবাহিনী ও প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জনগণের মত বিনিময় সভায় লিয়াকত এলাকার জনসাধারন নিয়ে উপস্থিত হলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সংগ্রাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ গ্রুপ তাদের উপর হামলা চালায় । এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। অন্য আহতরা বাঁশখালী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুর খবর গণ্ডামারা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বেড়ে যায়। মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুর ঘটনায় লিয়াকত আলীকে দায়ী করে অপর পক্ষ পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে আশংকা করছেন স্থানীয়রা ।
স্থানীয় জনগণের মত বিনিময় সভার প্রাক্কালে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থানীয় জনগণের ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পাওনা পাওয়ার আশ্বাস প্রদানের জন্য এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করলেও সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম গ্রুপের লোকজনদের সংঘাত সৃষ্টির কারণে মত বিনিময় সভার প্রকৃত তথ্য জানতে পারেনি স্থানীয় জনগণ। তবে, সভায় নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কমডোর এম. সোহাইল স্থানীয় জনগণকে তাদের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেবেন বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রকল্প এলাকা আভাইত্যার ঘোনায় মতবিনিময় সভা উপলক্ষে সকাল থেকেই উত্তেজনা চলে আসছিল। লিয়াকত আলী মানুষজন নিয়ে মতবিনিময় সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষন পর আওয়ামী লীগ নেতা সংগ্রাম, স্থানীয় চেয়ারম্যান আরিফ উল্লাহ ও আবদুল মালেক মানিক লোকজন নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হলেই উত্তেজনা ছড়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে। এ পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ১৫ জনের মত আহত হয় ।
আহতরা সবাই তার লোক দাবী করে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম বলেন, ‘লিয়াকত আলী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে জনগণকে আগেই থেকে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল। আহতরা আমার লোক ।
সংগ্রামের এ অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে লিয়াকত আলী বলেন, ‘জনগণ আমার প্রতি যে আন্তরিক তারা সেটার বহি:প্রকাশ দেখিয়েছে । তারা তাদের ওয়াদামত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগের প্রতি তারা আন্তরিক। কিন্তু, সংগ্রাম স্থানীয় জনসাধারনের সাথে বেঈমানী করে কথিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী দিয়ে সভায় উপস্থিত শান্তিপ্রিয় লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। এমন ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!