কুতুবদিয়ায় ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫

কুতুবদিয়ায় ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫ 1ইফতেখার শাহজীদ, কুতুবদিয়া : কুতুবদিয়ায় ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন ধক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শালেকের স্ত্রী রওশন আকতার (৩৫) একই ইউনিয়নের শাহ আলমের স্ত্রী বেবী আকতার (৩৭) জামাল হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম (২৮) আবুল হোসেনের স্ত্রী মনজুরা বেগম (৩২) ও আবদুল মাবুদ (২০)। আহতদের মধ্যে আবদুল মাবুদ, রওশন আকতার ও বেবী আকতারের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অন্যান্যদের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে প্রকাশ, বুধবার (১ফেব্র“য়ারী) দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সালিশ শেষে চলে যাওয়ার পথে ধুরুং কাঁচা এলাকায় আহত বেবী আকতার গংদের প্রতিপক্ষ মনজুর আলম ৮/১০জন দুর্বৃত্ত নিয়ে রওশন আকতার ও বেবী আকতারের ওপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করতে গেলে অন্যান্য আহতদেরকেও মারধর করে গুরুতর জখম করে। আহত রওশন আকতার জানান, মনজুর আলম তার আপন বড়ভাই । গত এক সপ্তাহ পূর্বে দাওয়াত দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক চার বোন থেকে পৈত্রিক সম্পদের নাদাবীর জন্য ১৩টি খালী ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। ঐ ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন। গতকাল সকালে পরিষদে বিচারের দিন ছিল। বিচার শেষে বাড়ী ফেরার পথে পরিষদে মনজুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৮/১০জন সন্ত্রাসী নিয়ে মারধর করে।
ধুরুং ইউনিয়ন ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী জানান, পরিষদে বেবী আকতার তার বড়ভাই মনজুর আলমের বিরুদ্ধে ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য অভিযোগ দেন। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে সালিশী বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয়ই পরিষদ থেকে চলে যায়। পথের মধ্যে মারামারির বিষয়টি জানেন না। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে রওশন আকতারের স্বামী মোঃ শালেক এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!