কৃষিমন্ত্রী বললেন, আগ্রাবাদের মানুষ কৃষিযন্ত্র কেনেন না

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তারাই কৃষি কাজের জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার, প্লান্টারসহ ৫৩ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনেন।
এসব যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আমরা ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিই। তারাই ভর্তুকি ও প্রণোদনা সুবিধা পাচ্ছেন, কারণ সরকার কৃষিবান্ধব।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এফবিসিসিআই ও আরটিভির যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাজেটে প্রত্যাশা ২০২২-২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনো সিদ্ধান্তে অটল আছি, সারের দাম বাড়াবো নাকি এটাকে অন্যভাবে ম্যানেজ করবো। শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। ফলে চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বেড়ে গেছে। এজন্য আমরা ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে ৫৩ ধরনের মেশিনারিজ দিচ্ছি কৃষককে। কৃষিখাতের এই সুবিধা কে পায়? ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তারাই কৃষিকাজ করেন, তারাই কম্বাইন্ড হারভেস্টার কেনেন, প্লান্টার কেনেন। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি কিংবা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মানুষ কম্বাইন্ড হারভেস্টার, প্লান্টার ও কৃষি যন্ত্রপাতি কেনেন না! কাজেই সরকার কিন্তু কৃষিবান্ধব।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী প্রমুখ।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনার কারণে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২৮ হাজার কোটি টাকা সরকারকে প্রণোদনা দিতে হবে। আমরা সিদ্ধান্তে অটল আছি, সারের দাম বাড়াবো। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত হলো, আমরা সারের দাম বাড়াবো।’

তিনি বলেন, এই যে ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি প্রণোদনা দেবো, এই টাকাটা কোথায় থেকে আসবে? এই রেভিনিউ কোথায় থেকে আসবে? অথবা উন্নয়ন বাজেট থেকে এই টাকা দিতে হবে! কিন্তু সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিবান্ধব। তিনি সব সময় বলছেন, কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উৎপাদন ব্যয় যাতে না বাড়ে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!