কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী টিপু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড জালাল পেকুয়ায় র‍্যাবের হাতে ধরা

কক্সবাজারের উপকূলের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জলদস্যু আনসারুল ইসলাম টিপু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড জালালকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। জালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর সুন্দরীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি এসবিবিএল, দুইটি ফ্লিন্টলক গান, একটি দেশীয় পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, এক রাউন্ড খালি খোসা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার জালাল আহমেদ (৩২) রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া এলাকার মো. শরীফের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, টিপুর নেতৃত্বে স্থানীয় নিরীহ জনগণের উপর প্রতিনিয়ত লুটপাট, চিংড়ির প্রকল্প দখল, চাঁদাবাজি, হত্যা ও জখমসহ নানাবিধ অপকর্ম মাঠ পর্যায়ে জালালের মাধ্যমেই পরিচালিত হতো।

রজালালের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, মারামারি, জোর দখল, চুরি, ডাকাতি, জখম, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন থানায় নয়টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি মামলার গ্রেফতার ওয়ারেন্ট আছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় দুইটি এবং চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আনসারুল ইসলাম টিপু বাহীনির এলাকায় খুন, চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি, মারামারি, জোর দখল, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার আশ্রয়ে টিপু বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী আনসারুল ইসলাম টিপুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে উপকূলীয় এলাকায় শান্তি ফিরবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি উপকূলের ত্রাস আনসারুল ইসলাম টিপুকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। গ্রেফতারের মাত্র তিনদিনের মাথায় টিপু জামিনে বেরিয়ে আসে।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!