কুতুবদিয়ায় অর্ধশতাধিক কেজি স্কুল এক বই বিক্রেতার হাতে জিম্মি

কুতুবদিয়ায় অর্ধশতাধিক কেজি স্কুল এক বই বিক্রেতার হাতে জিম্মি 1কুতুবদিয়া প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ার অর্ধশতাধিক কেজি স্কুলের হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী উপজেলার একজন বই বিক্রেতার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বড়ঘোপ ইউনিয়নস্থ হাসপাতাল গেইটে অবস্থিত বিসমিল¬াহ লাইব্রেরীর স্বত্তাধিকারী তোফাইল আহমেদ এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় অভিভাবকবৃন্দ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও,ওসি ও শিক্ষা অফিসার বরাবরে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মোয়াজ্জেম হোসেন নামের এক সচেতন অভিভাবক।

এলাকার সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কেজি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাইড বই বিক্রির পাশাপাশি উক্ত বই বিক্রেতা বাংলাদেশ
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত (এমআরপি) মূল্যের উপর আলাদা মূল্য বসিয়ে ঐসব কেজি স্কুলের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের কাছে দেদারসে বিক্রি করছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে এমন জঘন্য জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে এ বিক্রেতা।

এসব অভিভাবকগণ আরো অভিযোগ করেছেন, কেজি স্কুলগুলোতে বিভিন্ন উপহার দিয়ে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের বশে এনে স্কুলের নির্ধারিত বইগুলো তার লাইব্রেরী থেকে কিনতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে। প্রায় সময় নিম্ন মানের প্রকাশনার বই অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাধ্য করা হয় । যার ফলে এইসব বই পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছেনা।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন কেজি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, কচিকচি শিক্ষার্থীদের হাতে ৮ থেকে ১০টি বই শোভা পাচ্ছে। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পাঠ্য তালিকার অক্সফোর্ড ইংলিশ গ্রামার ও বাংলা ব্যাকরণ বইতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত (এমআরপি) মুল্য ১১০ টাকার উপর ওভার লেপিং করে ১৪০ টাকার স্টিকার লাগানো হয়েছে।

কুতুবদিয়ায় অর্ধশতাধিক কেজি স্কুল এক বই বিক্রেতার হাতে জিম্মি 2এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কুতুবদিয়া হাসপাতাল গেইটস্থ বিসমিল¬াহ লাইব্রেরীর কথা জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঐ লাইব্রেরীর মালিক বই বিক্রেতা তোফাইলের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলেন বিষয়টি নিয়ে নিউজ করিয়েন না আমি শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করেছি।

এদিকে শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপপ্ত) মোঃ ওমর ফারুককে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঐ লাইব্রেরীর বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ এসেছে। মালিক কর্তৃক ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!