‘করোনার বলি’ হয়ে এবি ব্যাংক থেকে চাকরি গেল ১২১ কর্মকর্তার

করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেই এবি ব্যাংকের ১২১ জন কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হল চাকরি থেকে। রোববার (১২ জুলাই) চাকরিচ্যূতির এই আদেশ কার্যকর হতে যাচ্ছে। বুধবারই (৮ জুলাই) চাকরিচ্যূত এসব কর্মকর্তার তালিকা করে অফিস নির্দেশনা জারি করেছে এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এই ছাঁটাইয়ের আগে মহামারীর আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবি ব্যাংকের সব কর্মীর মে ও জুন মাসের বেতন ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাংকটির শাখা রয়েছে ১০৫টি। এতে কাজ করছেন প্রায় ২ হাজার ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রামের শিল্পপতি এম মোর্শেদ খানের হাত ধরে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু করা আরব বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে এবি ব্যাংক হিসেবে নতুন রূপে পথচলা শুরু করে। গত অন্তত এক দশক ধরে প্রথম সারির এই ব্যাংকটি উদ্যোক্তা পরিচালকদের লুটপাটের স্বর্গভূমি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের সব ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে এবি ব্যাংকের পরিচালকরা নিজ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ঋণ নিয়েছেন। তাদের ঋণের স্থিতি ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই অর্থের পুরোটাই বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে একাধিক তদন্তে উঠে এসেছে।

এদিকে এতোগুলো কর্মকর্তাকে একসঙ্গে ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা আর অতিরিক্ত খরচ বহন করতে পারছে না। ব্যাংকটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ছাঁটাই করা কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া এবি ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সব বকেয়া এবং পাওনা পরিশোধ করা হবে। এবি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তাদের তিন মাসের মূল বেতন প্রদান করা হবে।

ওই নির্দেশনায় সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ছাঁটাই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে তার জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!