কওমী মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা যে কোনো সময়

করোনা সতর্কতা

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এই বন্ধের ঘোষণায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা আওতাভুক্ত হলেও স্বতন্ত্র বোর্ডের আওতাধীন কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এখনও বন্ধের কোন ঘোষণা আসেনি। তবে শীঘ্রই, এমনকি মঙ্গলবারেই (১৭ মার্চ) বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে কওমী মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশর মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা দুই ধারায় বিভক্ত— আলিয়া ও কওমী। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কওমী মাদ্রাসা হাটহাজারী মইনুল উলুম, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা, বাবুনগর মাদ্রাসা, নানুপুর বড় মাদ্রাসা, পটিয়া, জিরি মাদ্রাসাসহ মিলে ৩ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসায় প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের বেশিরভাগই আবাসিক শিক্ষার্থী। আলিয়া মাদ্রাসা সরকারের আওতাধীন সকল ছুটি অনুসরণ করলেও কওমী মাদ্রাসাগুলো বেফাকুল মাদারসিলি কওমিয়া (বেফাক) বোর্ডের আওতাধীন হওয়ায় তাদের নিজস্ব ছুটি অনুসরণ করে। এজন্য সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এখনো বন্ধের কোন ঘোষণা আসেনি। তবে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে কওমী মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।

হাটহাজারী মইনুল উলুম মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, করোনাভাইরাসের জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও কওমী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা না করায় আতংকের মধ্যে আছি। আমরা চাই দ্রুত দেশের সকল কওমী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হোক।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কওমী মাদ্রাসা এখনো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য রাতে কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে থেকে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সিএম/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!