এশিয়ান অ্যাথলেটিক্সে সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশের হাসান

কাতারের দোহায় চলমান এশিয়ার সবচেয়ে বড় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিযোগী বাংলাদেশের হাসান মিয়া। বিকেএসপির দশম শ্রেণির ছাত্র হাসানের জন্ম ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি।

বয়স মাত্রই ষোলোতে পড়েছে। এশিয়ার ৪৫ দেশের প্রায় ১০০০ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন এবারের আসরে। এর মধ্যে বাংলাদেশের হাসান মিয়াই সবচেয়ে কম বয়সী অ্যাথলেট।

বিকেএসপির দশম শ্রেণির ছাত্র হাসান মিয়া দেশের দ্রুততম মানব হয়েছিলেন গত বছর জুলাইয়ে জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে। ১০০ মিটার স্প্লিন্টে ১০.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেছনে ফেলেছিলেন ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন মেজবাহ আহমেদকে।

গত জানুয়ারিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নৌবাহিনীর মোহাম্মদ ইসমাইলের কাছে দ্রুততম মানবের খেতাব হারালেও টাইমিং কমিয়ে এনেছিলেন ১০.৩০ সেকেন্ডে। সেই হাসান মিয়া দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলো ছড়িয়েছেন। কাতারের দোহায় চলমান ২৩তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারের দৌড়েছেন ১০.৮৬ সেকেন্ডে।

ঘরোয়া আসরের চেয়ে সময় বেশি লাগলেও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আসরে তিনি করেছেন আন্তর্জাতিক মিটে সেরা টাইমিং। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলংকায় তৃতীয় সাফ জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে হাসান মিয়া ১০০ মিটারে সময় নিয়েছিলেন ১১.১৫ সেকেন্ড।

মাত্র ১৬ বছর বয়সী কিশোরের এত বড় মঞ্চে টাইমিং ভালো করা বিশাল কৃতিত্বই। বয়স কম বলে আয়োজকরা তার ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন বলেও দোহা থেকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু।

এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ৫ অ্যাথলেট। তারা হলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মো. ইসমাইল, শিরিন আক্তার, সোহাগী আক্তার এবং বিকেএসপির জহির রায়হান ও মো. হাসান মিয়া।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!