এখন অফিসে বসেই দেখা যাবে বন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি

সিসিটিভির আওতায় আনা হচ্ছে পুরো বন্দর এলাকা। সিসিটিভির ফুটেজ ইচ্ছে করলে আমদানিকারকরা নিরাপত্তা অফিসে বসে সিলভার স্ক্রিনে দেখতে পারবেন। কারণ বন্দরের ইয়ার্ডে চুরির ঘটনা শূন্যের কোটায় আনতে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে বন্দরে বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়ে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেওয়া হয়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম।

ওই সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক), শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনসহ বন্দর ব্যবহারকারি আমদানি রপ্তানির সাথে জড়িত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বে-টার্মিনাল নির্মাণে একটি টাইমফ্রেইম থাকা উচিত। ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সড়কের উন্নয়ন পূর্বশর্ত থাকতে হবে। এজন্য ডেলিগেট রোড দরকার। কর্ণফুলী নদী রক্ষা করতে হবে। ড্রেজিং কাজ চলমান রাখতে হবে। বন্দরের ইক্যুইপমেন্ট আরও সংযোজন করতে হবে। জেটির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

বিজিএমইএ সহসভাপতি আবদুচ ছালাম বলেন, বন্দরের মাল শিপমেন্ট এবং আনলোড করতে সময় এখনও বেশি লাগছে। বিশ্বের অন্য কয়েকটি বন্দরের সাথে লিড টাইমের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে। ফলে আমাদের অনেক বায়ার চলে যাচ্ছে অন্য দেশে। এখনও গার্মেন্টস মালামাল নিয়ে কোনও জাহাজ আসলে তা ৪ থেকে ৫ দিন আউটারে পড়ে থাকছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক সাহেদ সরওয়ার বলেন, ফ্রুট জাতীয় মালামাল ভর্তি কন্টেইনার অনেক সময় আমদানিকারকরা নেন না। ফলে কন্টেইনারে পচেগলে তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এসব কন্টেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগ রাখতে হয়। বিচ্ছিন্ন করতে বললেও করে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে শিপিং এজেন্টকে ওই বিল পরিশোধ করতে হয়।

বাফা পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, বন্দরে আরও স্ক্যানিং মেশিন দরকার। স্ক্যানিং করার কথা বলা হলেও যথাযথ স্ক্যানিং হয় না। এক্ষেত্রে কাস্টমসের গড়িমসি রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ট্রাফিক এনামুল করীম বলেন, জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর আগে আমদানিকারকের মোবাইলে এসএমএস যাবে। ভবিষ্যতে অনলাইন প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের প্রশ্নের জবাবে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সামনে বিদেশে গেলে কাস্টমসের কর্মকর্তাদেরও নিয়ে যাবো। যাতে তারা দেখতে পারে বিদেশে কিভাবে কাজ হয়। কর্ণফুলীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য নদী কমিশনকে পাঠানো হবে। বন্দরের অকশন সেডকে আরও উন্নত করা হবে। রেল কার্গো পরিবহনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বে-টার্মিনালকে কুমিরা পর্যন্ত সীমানা বৃদ্ধি করা হবে যাতে এ জায়গায় অন্য কোনও কোম্পানি কিছু করতে না পারে। কর্ণফুলী ড্রেজিংয়ের জন্য গ্রেড ড্রেজার আনা হবে। খালের মুখে ক্লিনিং নেটিং বসানো হবে। সেডগুলোতে চুরি রোধে পুরো বন্দরকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!