এইচএসসি/ আবশ্যিক দুই বিষয় পাসের হার কমার কারণ

উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬২.১৯ শতাংশ। পাসের হার কমার কারণ আবশ্যিক বিষয়ে খারাপ ফলাফলের প্রভাব সামগ্রিক ফলাফলে ফেলেছে।

ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভালো হলেও প্রভাব পড়েছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আর মানবিক বিভাগে। যা আবশ্যকীয় হওয়ায় ফলাফলে সামগ্রিকভাবে প্রভাব পড়ে ৭ শতাংশ কমেছে ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগের পাসের হার ৯৬.৪৬ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৬.৭১ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে গত বছর পাসের হার ছিল ৮৬.৮৪ শতাংশ যা এ বছর ৩.৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৩.৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে মানবিক বিভাগে গত বছর ছিল ৭৪.৩৩ শতাংশ এবার কমে হয়েছে ৭৪.২০ শতাংশ।

ইংরেজি বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৭.০৭ শতাংশ যা গতবছর ছিল ৯৭.৫৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় দশমিক ৪৯ শতাংশ কম। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এ বছর পাসের হার ৮০.৯১ শতাংশ যা গতবছর ছিল ৮৪.৫৫ শতাংশ। মানবিক বিভাগে গতবছর ছিল ৬৯.৬৮ শতাংশ যা এ বছর ৩.৩১ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৬.৩৭ শতাংশ।

এই দুই আবশ্যকীয় বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগের তুলনামূলক ভালো হলেও পিছিয়ে পড়েছে ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। যা সামগ্রিক ফলাফলে পাসের হার কমেছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এ বছর মোট পাসের হার ৮১.৩০ শতাংশ এবং ইংরেজি বিষয়ে মোট পাসের হার ৭৩.৭২ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৯২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৫২৩ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২ হাজার ৮৬০ জন পরীক্ষার্থী।বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২৫৮ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪৭৩ জন এবং মানবিক বিভাগে ১২৯ জন। যা গতবারের তুলনায় ১২৪৭ জন বেশি।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বলেন, ‘সাধারণত বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা আইসিটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকে যার কারণে এক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়েনি কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগে বিরাট প্রভাব ফেলেছে যার ফলে সামগ্রিক ফলাফল আগের মতই আছে পাসের হার বাড়েনি।’

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!