ঈদের উপদ্রব/ চট্টগ্রাম শহর চষে বেড়াচ্ছে ৩৫০ ছিনতাইকারী, সতর্ক পুলিশও

ভোর, সন্ধ্যা ও গভীর রাতই বিপজ্জনক বেশি

ঈদের ছুটির এই সময়টায় চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। চোখের পলকে এরা অস্ত্র ঠেকিয়ে, ছুরি কিংবা ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে টাকার ব্যাগ, স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। তবে এ নিয়ে মাঠে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। গত এক সপ্তাহে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে তালিকাভুক্ত ৫০০ ছিনতাইকারী রয়েছে। এদের মধ্যে ১৪০ পেশাদার ছিনতাইকারী। তালিকাভুক্তদের মধ্যে জেলে আটক রয়েছে ১৫০ ছিনতাইকারী।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইকারীরা নিস্ক্রিয় ছিল। মাঝেমধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও খুব বেশি তৎপর ছিল না। তবে রমজান ও ঈদকে ঘিরে আবার সক্রিয় হয়ে উঠে ছিনতাইকারীরা। নগরীর সড়ক, বাসস্টেশন, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্টপেজগুলোকে টার্গেট করেছে তারা। ছিনতাইকারীরা গ্রুপে ভাগ হয়ে এসব অপরাধমূলক কাজ করে।

তৎপরতা বেশি রমজান ও ঈদে
গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, প্রতিবছর রমজান ও ঈদে তারা তৎপর হয়ে উঠে। তিন-চারজন গ্রুপ করে অবস্থান নেয়। সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে।
সাধারণ লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ সময় তারা প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলও ব্যবহার করে। প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিচালকও তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

পুলিশ জানায়, গত এক সপ্তাহে গ্রেপ্তারকৃত ২৮ জনের মধ্যে ৯ জন তালিকাভুক্ত। এরা এক থেকে দেড়শ ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে আবার অনেকের বিরুদ্ধে ১০-১৫ মামলা রয়েছে।

ভোর ও গভীর রাতই বিপজ্জনক বেশি
সিএমপির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, রমজান ও ঈদের সময়টায় অপরাধীদের কর্মকাণ্ড কেমন হয়- এ নিয়ে একটি পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায় ভোরে ও সন্ধ্যার পরপর ও গভীর রাতে মানুষ ছিনতাইয়ের শিকার হয় বেশি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!