গত এক সপ্তাহধরে উর্ধ্বগতিতে ছুটতে থাকা চট্টগ্রামের করোনা আগেরদিন কিছুটা কম ছিল। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৫৫০ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৩৬২ জন নগরের এবং ১৮৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তবে এদিনও চট্টগ্রামে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ চার হাজার ৯৭৭ জনে। তাদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৭৬ হাজার ১৯৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ৭৮৩ জন বিভিন্ন উপজেলার। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৫ জন নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এক হাজার ৯৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৫০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার প্রায় ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৩৮ জন, শেভরন হাসপাতাল ৫৯ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ জন, ইপিক হেলথকেয়ার ল্যাবে ৩২ জন, ল্যাব এইড হাসপাতাল ল্যাবে তিনজন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৫ জন এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে ১৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
উপজেলায় শনাক্ত ১৮৮ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বাধিক ৪১ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া, রাঙ্গুনিয়ায় ২৭ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, পটিয়াতে ১৯ জন, বোয়ালখালীতে ১৭ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, সীতাকুণ্ডে ১০ জন, চন্দনাইশে ৯ জন, লোহাগাড়ায় ৮ জন, বাঁশখালী ও রাউজানে ৬ জন করে, আনোয়ারায় ৫ জন, মিরসরাইয়ে ৪ জন, কর্ণফুলী ও সন্দ্বীপে ২ জন করে করোনা শনাক্ত হয়।
এমএহক