দেশে এই প্রথম ভেনামি চিংড়ির চাষ শুরু করছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান

দেশে এই প্রথম উচ্চফলনশীল জাতের ভেনামি চিংড়ির চাষ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা কক্সবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ির চাষ করবে। এর আগে সরকারের অনুমতি পেয়েও খুলনাভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান এমইউসি ফুডস ও বেসরকারি সংস্থা সুশীলন এই চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ করতে পারেনি। এজন্য পানিতে প্রয়োজনীয় লবণাক্ততার অভাব ও করোনা মহামারিকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন এই উদ্যোক্তারা।

রোববার (৪ অক্টোবর) চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রি বিজনেস এন্টারপ্রাইজকে পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করার অনুমতি দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এখন তারা দেশের বাইরে থেকে ভেনামির পোনা আমদানি করবে। আমদানির পর প্রয়োজনীয় রোগজীবাণু পরীক্ষা শেষে কক্সবাজারে ভেনামি চিংড়ির চাষ কার্যক্রম শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সাধারণত একবারের বেশি গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ করা যায় না। কিন্তু ভেনামি চিংড়ি বছরে অন্তত তিনবার চাষ করা যায়। অন্যদিকে পুকুরে প্রতি হেক্টরে যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করা যায়, সেখানে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন করা যায় সাত থেকে আট হাজার কেজি— যা ২০ গুণেরও বেশি।

দেশে এই প্রথম ভেনামি চিংড়ির চাষ শুরু করছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান 1

দেশে প্রায় পৌনে তিন লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হলেও উৎপাদন কমছে ক্রমশ। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন নেমে এসেছে ২৪ হাজার ৩৯৬ মেট্রিক টনে। গলদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন। এ কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিও হয়েছে মাত্র ৩৩ কোটি ডলারের। এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে উচ্চফলনশীল জাতের ভেনামি চিংড়ি।

বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ির উৎপাদনে যেতে ভারতের সময় লেগেছিল পাঁচ বছর। তবে বাংলাদেশে সেটা তিন বছরের মধ্যেই সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!