১৮ সিনেমা হলে ‘ন ডরাই’, চট্টগ্রামেই চার

নানা তর্ক-বিতর্কের পর চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত দেশের প্রথম সার্ফিং বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’ ২৯ নভেম্বর মুক্তি পায় আটটি প্রেক্ষাগৃহে। তিন সপ্তাহ পর চতুর্থ সপ্তাহ গড়াতেই প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়লো আরও ১০টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামেরই চারটি প্রেক্ষাগৃহ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে দেশের যে ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে ‘ন ডরাই’ ছবিটি চলবে, তার মধ্যে চারটিই চট্টগ্রামের। এগুলো হচ্ছে সিলভার স্ক্রিন, আলমাস, সিনেমা প্যালেস ও পটিয়ার ছন্দা সিনেমা। কক্সবাজারের বিজিবি অডিটোরিয়ামেও প্রদর্শিত হবে ছবিটি। রাজধানীতে ছবিটি দেখা যাবে স্টার সিনেপ্লেক্স (পান্থপথ, ধানমণ্ডি ও মহাখালী), ব্লকবাস্টার (যমুনা ফিউচার পার্ক), শ্যামলী (শ্যামলী) ও বলাকায় (নিউমার্কেট)। ঢাকার বাইরে ছবিটি আরও চলবে সাভারের সেনা অডিটোরিয়াম, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, সিলেটের নন্দিতা, ময়মনসিংহের ছায়াবাণী, খুলনার লিবার্টি, বরিশালের অভিরুচি, বগুড়ার মম ইন, টাঙ্গাইলের মালঞ্চ, মানিকগঞ্জের নবীন সিনেমা হলে।

‘ন ডরাই’— সার্ফিং নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাঈদ বাবু, জোসেফাইন লিন্ডেগার্ড প্রমুখ। একজন নারী সার্ফারের জীবন নিয়ে তৈরি ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এর প্রায় সব দৃশ্যধারণই হয়েছে কক্সবাজারে। প্রায় সব সংলাপই চট্টগ্রামের ভাষায়। তবে নির্মাতারা জানিয়েছেন, এমনভাবে চট্টগ্রামের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সেটা বুঝতে সমস্যা হবে না।

ছবিটির প্রযোজক স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

শুরু থেকেই ছবিটি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। গত ২১ নভেম্বর ছবিটি দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও সংলাপ নিয়ে জানিয়েছিলেন আপত্তি। ‘ন ডরাই’ নামের সিনেমাটি তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। ‘আপত্তিকর’ আঞ্চলিক ভাষার এই সংলাপে সংশোধনী না আনলে ছবিটিকে সেন্সর সনদ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। শেষপর্যন্ত ২৫ নভেম্বর ছাড়পত্র পায় ‘ন ডরাই’।

এরপর ৪ ডিসেম্বর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ‘ন ডরাই’ সিনেমার সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম। এই ছবির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং হযরত আয়শা (রা.) কে অপমান করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয় তথ্য সচিব, আইন সচিব, সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল, পরিচালক তানিম রহমান অংশু, সংলাপ রচয়িতা শ্যামল সেন গুপ্তকে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!