চান্দগাঁও কালুরঘাটে চসিক ঠিকাদার পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে

জরিমানা মাত্র এক লাখ

এবার বায়ু দূষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ফ্লাইওভারের সামনে থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন নামে ক্রমান্বয়ে বায়ু দূষণ করে চসিকের আওতাধীন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস আর টি এন্ড ইবি (জেভি)।

রাস্তার উন্নয়নকাজে বায়ু দূষণের এমন চিত্র নজরে আসে পরিবেশ অধিদপ্তরের। বায়ু দূষণের কারণে শুনানি শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে মাত্র এক লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে এ জরিমানার আদেশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক।

জানা যায়, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ফ্লাইওভার সম্মুখ থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত এলাকার রাস্তার উন্নয়ন (লট-১) শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে বায়ু দূষণ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১২ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শুনানিতে হাজিরার নোটিশ দেয়া হয়।
পরিবেশগত ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করায় এ ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে বায়ু দূষণের কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১২ ডিসেম্বর শুনানিতে হাজিরার নোটিশ দেয়া হয়। পরিবেশগত ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করার দায়ে শুনানি শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয় এবং একইসাথে দ্রুততম সময়ে প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্ত ও দিনে কমপক্ষে তিনবার পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাসপেনডেড পার্টিকুলার ম্য‌াটার (এসপিএম) এর মানমাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে আলাদা করে মাপার প্রয়োজন পড়েনি।

এ প্রকল্পের ব্যাপারে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, জরিমানা শুনিনি তবে তাদের নোটিশের কথা শুনেছি। ওই রাস্তায় তো ট্রাফিক (যানবাহন চলাচল) কন্টিনিউ (চলমান)। এমন না যে ট্রাফিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার জায়গাও সংকীর্ণ। কাজ করতে গেলে ধুলোবালি তো উড়বে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি যতোটুকু মিনিমাম রাখা যায়।

বিশেষ করে ভালো পানি ছিটিয়ে, বালি যাতে ওপেন (খোলা) না রাখে। ঢেকে রাখার জন্য। আর এরকম হেভি ট্রাফিক রোডে কাজ করতে গেলে ধুলোবালি উড়বে। এটা আমাদের দেশের একটা লিমিটেশন। আমরা তো কোন রাস্তা টোটাল (পুরো) বন্ধ করে কাজ করতে পারিনা। সেখানে ট্রাফিকের মধ্যেই করতে হয়।

বায়ু দূষণের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের তরফ থেকে কাজের যে দুর্বলতা তা হচ্ছে তাদের যে বালি ঢেকে রাখার কথা, যেসব সাইটে কাজ করতে হবে সেখানে পানি ছিটানোর নির্দেশনা থাকলেও তারা তা করেনি। আমাদের সিটি করপোরেশনের যে ওয়াটার ব্রাউজার আছে এটা কিন্তু সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পানি ছিটায়। সেভাবে কাজের ক্ষেত্রে তাদেরও করতে হবে।

এসআর/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!