বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাাতি ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা কোন ব্যক্তি বা দলের একক প্রচেষ্টায় হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা। আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও কৃতিত্বের দাবীদার মনে করে অথচ ’৭১ সালে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে জাতির ক্রান্তিলগ্নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে হয়েছিল। সেদিন শহীদ জিয়া সময়মত যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন আরো কঠিন ও দীর্ঘায়িত হত।
তিনি আজ শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ ডায়মন্ড টাচ কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মৃধার স্মরণে আয়োজিত স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মৃধা স্মৃতি সংসদ ও স্থানীয় বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, দেশে এখন হীরক রাজার শাসন চলছে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই দীর্ঘদিন ধরে। বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। শেখ মুজিবের ঘোষিত বাকশালের চেয়েও শেখ হাসিনার অঘোষিত বাকশালী শাসনের তীব্রতা অনেক বেশী।
নোমান আরো বলেন, আন্দোলন ছাড়া সরকারের পতন ঘটানোর বিকল্প কোন উপায় নেই, কারণ সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, নির্বাচনকে সরকার তামাশায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইলে দলকে সাংগাঠনিকভাবে শক্তিশালী করে রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
রাজপথের আন্দোলনে সফল হতে হলে সাংগাঠনিকভাবে যারা অক্ষম ও আয়েশী মনোভাব সম্পন্ন তাদের উচিত জেল-জুলুমকে আলিঙ্গন করে যারা রাজপথের আন্দেলনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারবে তাদেরকে নেতৃত্বের অগ্রভাগে জায়গা করে দেওয়া।
নোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষান্ত হয়নি। অস্স্থু সাদেক হোসেন খোকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার রনাঙ্গণের এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চারিতার্থ করেছেন। আমি সরকারের এই হিংসাত্মক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
পাহাড়তলী থানা বিএনপির আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস মৃধা স্মৃতি সংসদের আহবায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ন-সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, বন্দর শ্রমিকদরের সভাপতি শামসুল আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, মাহনগর বিএনপি নেতা শ.ম. জামাল, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর হাজী বাবুল হক, এডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, কামাল উদ্দিন, জসীম উদ্দিন জিয়া, মোশারফ হোসেন ডিপটি, আব্দুল মান্নান, আশরাফ চৌধুরী, জাহাংগীর আলম, দুলাল, এডভোকেট মফিজুল ভুইয়া, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, দিদারুর রহমান সুমন, এসকান্দর উল্লাহ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নূর সেলিম বাংগালী, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুব আলম পান্না, ইকবাল হোসেন, মাইনুদ্দিন মেহেদী, তোফাজ্জল হোসেন, টিংকু দাশ, আজমল হুদা রিংকু, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ, মাইনুদ্দিন শহীদ, নূর আহমদ গুড্ডো, সাহেদ আকবর, হাবিবুর রহমান মাসুম, ফজলুল হক সুমন, শাহীন আহমেদ কবির, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ ফরিদ, সাইফুল আলম, শেখ রাসেল, জালাল উদ্দিন সোহেল, জমীর উদ্দিন নাহিদ, হাজী মাহবুব আলম, মাসেকুল ইসলাম মাসুক, শফিউল্লাহ প্রমুখ।
রিপোর্ট::মোরশেদ রনী
এ এস/জি এম এম/এম আর